প্রতিবেদন : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মগ্রাম বীরসিংহের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করছে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ এবং ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি। ইতিমধ্যে সেখানে বড় একটি পার্ক তৈরির কাজ শুরু করেছে উন্নয়ন পর্ষদ। বীরসিংহের মূল আকর্ষণ বিদ্যাসাগরের জন্মভিটেয় গড়ে ওঠা স্মৃতিমন্দিরের সামনে গার্ডওয়ালের উপর তাঁর জীবনচিত্র আঁকার কাজ চলছে বলে জানান ঘাটালের মহকুমা শাসক ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুমন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-বালুরঘাট বিমানবন্দর চালুর সম্ভাবনা ক্রমে জোরালো, পরিদর্শনে রাজ্যের প্রতিনিধিদল
ওই স্থানে রয়েছে বিদ্যাসাগরের ব্যবহৃত বাঁধানো দাঁত, পোর্টম্যান্টো, হুঁকো, বই-সহ নানা সামগ্রী। আছে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে অনেক মডেলও। বছর চারেক আগে ঈশ্বরচন্দ্রের আদি মাটির বাড়িটির আদলে দুটি কংক্রিটের বাড়ি তৈরি হয়েছে। এছাড়াও তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুল এবং হস্টেলও রয়েছে। স্মৃতিমন্দিরের কেয়ারটেকার দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সেগুলি দেখতে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন। স্মৃতিমন্দিরের পাঁচিলে তাঁর জীবনী নিয়ে আছে কিছু তৈলচিত্র। সম্প্রতি এর পাশাপাশি গার্ডওয়ালটিতে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তৈলচিত্র আঁকছেন শিল্পী কার্তিক সরেন। জানা গেল, প্রায় ২৫ বর্গফুটের ১৪টি তৈলচিত্র আঁকার কাজ কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হবে। বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানে পর্যটক টানার লক্ষ্যে গত বছর দেড় কোটি টাকা দিয়ে পার্ক গড়ার কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন-৪৬ হাজার বাড়িতে পরিস্রুত জল পৌঁছে দিতে পুরসভা তৈরি করছে ৬টি জলাধার
তবে মাঝপথে পার্ক তৈরির কাজ থমকে যায়। ফলে এলাকাটি ঝোপজঙ্গলে ভরে ওঠে। পার্কটি হলে বহু মানুষ নিয়মিত আসবেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। মহকুমা শাসক বলেন, টাকার সমস্যা আছে। তবে ওই পার্কটি দ্রুত সম্পূর্ণ করার প্রস্তাব ফের উপর মহলে পাঠানো হয়েছে।