সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : পৌষমেলার দাবিতে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের হল ধস্তাধস্তি। যেভাবে স্মারকলিপি জমা দিতে বাধা দেওয়া হল, তাতে অনেকেই মনে করছেন, পৌষমেলা নিয়ে সংঘাতের পথে গেল বিশ্বভারতী।
আরও পড়ুন-৪৬ হাজার বাড়িতে পরিস্রুত জল পৌঁছে দিতে পুরসভা তৈরি করছে ৬টি জলাধার
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বলাকা গেট বন্ধ রেখে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কার্যত বাধা দিল কর্তৃপক্ষ। ওদের মধ্যে পুরনো ‘কর্তার ভূত’কে দেখছেন অনেকেই। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের বলাকা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে চলে বিক্ষোভ। যদিও কার্যালয়ে ছিলেন না ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বা কর্মসচিব। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যৌথভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, এবারও হচ্ছে না পৌষমেলা। তারপর থেকে শান্তিনিকেতনের আবহাওয়া উত্তপ্ত হতে শুরু করে। কবিগুরু মার্কেটের আমিনুল হোদা বলেন, বিশ্বভারতী শুধুমাত্র পূর্বপল্লির মাঠটা দিত। ট্রাস্ট ও রাজ্য সরকারের সাহায্যে মেলা ঠিকই হত। হাতে এখনও সময় আছে। বিশ্বভারতী শুধু মাঠটা দিক।
আরও পড়ুন-বালুরঘাট বিমানবন্দর চালুর সম্ভাবনা ক্রমে জোরালো, পরিদর্শনে রাজ্যের প্রতিনিধিদল
২০১৯-এ শেষবার শান্তিনিকেতনে হয়েছিল পৌষমেলা। ২০২০-তে কোভিডের জন্য বন্ধ ছিল৷ ২১ ও ২২ সালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পৌষমেলা বন্ধ করে দেন৷ যা নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়৷ সঞ্জয়কুমার মল্লিক নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হলে সবাই আশা করে এবার মেলা হবে৷ কিন্তু ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী মেলা হবে না বলে জানিয়ে দেয়। প্রতিবাদে এদিন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে বাধা পেয়ে জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, এসএসডিএ এবং ট্রাস্টের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন ব্যবসায়ী সমিতির সুনীল সিং, কবিগুরু মার্কেটের আমিনুল হোদা, আলাপিনি সমিতির মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়রা।