সংবাদদাতা, হুগলি : হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেওয়ায় প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন শতায়ু বৃদ্ধ। পারিবারিক চিকিৎসক দেবত্র ঘোষের পরামর্শ মতো তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই বুকে পেসমেকার বসিয়ে প্রাণ ফিরে পেলেন হুগলির পুরশুড়ার ডিহিবাদপুরের বাসিন্দা বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন এই রেলকর্মীকে পরীক্ষার পর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানান, হার্টবিট অনেক কম, দ্রুত টেম্পোরারি পেসমেকার বসাতে হবে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ খুশি সবাই, পৌষমেলা ঐতিহ্যবাহী পূর্বপল্লী মাঠেই
পরিবারের সদস্যরা প্রথমে রাজি হতে চাননি তাঁর বয়সের কথা ভেবে। চিকিৎসক দেবত্র ঘোষ তাঁদের রাজি করান। পেসমেকার বসানোর পর কিছুটা স্থিতিশীল হন বৃদ্ধ। এরপর স্থায়ী ভাবে বুকে পেসমেকার বসাতে হবে বলে পরামর্শ দেন চিকিৎসক। একশো বছর বয়সি একজনের অস্ত্রোপচার করে পেসমেকার বসানোর ঝুঁকিটা নেন চিকিৎসকরা। ডাঃ শুভেন্দু বলেন, প্রায় দেড়শোজনের পেসমেকার বসিয়েছি। কিন্তু শতায়ু কোনও মানুষের পেসমেকার বসানো এই প্রথম। পেসমেকার বসানো সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। তারপর একজনের বয়স যখন একশো বছর, তাঁর হার্টের বয়সও একশো। তাই ঝুঁকি ছিল আরও বেশি।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতি.বাদে বিশাল মিছিল জামবনিতে
তিনি বলেন, বড় হাসপাতালে ক্যাথল্যাবে পেসমেকার বসাই। এখানে সেই ব্যবস্থা নেই। তাই ঝুঁকি নিয়েই পেসমেকার বসাই। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে বেডে বসে নাম ঠিকানা বয়স বলছেন, এটা বিরাট পাওনা। আমি নিজে শ্রীরামপুরের ছেলে, তাই এই কাজটার সঙ্গে থাকতে পেরে ভাল লাগছে। বৃদ্ধের আত্মীয় ঈশা চট্টোপাধ্যায় বলেন, দাদু হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ইসিজি করে ধরা পরে হার্টে ব্লকেজ আছে। আমরা প্রথমে খুব ভয় পেয়েছিলাম, যেহেতু বয়সটা বেশি। তবে ডাক্তারবাবুরা ভরসা দিলেন। দাদু এখন সুস্থ, তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।