প্রতিবেদন : সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ফের বিধ্বংসী কায়দায় শুরু হয়েছে যুদ্ধ। বন্ধ হয়েছে বন্দি বিনিময়ও। রোজ লাফিয়ে বাড়ছে গাজা উপত্যকার হতাহতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে এবার ইজরায়েলকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, ইজরায়েলি পণবন্দিদের আর জীবিত ফেরানো হবে না। হামাসের এহেন হুঁশিয়ারির পর নতুন করে দক্ষিণ গাজায় ফের হামলা শুরু করল ইজরায়েল। সোমবার সকাল থেকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে ইজরায়েলি সেনা ফের হামলা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-আদিগঙ্গার দু’পাশে জবর.দখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ, সংস্কারের কাজ খতিয়ে দেখলেন মেয়র
সম্প্রতি ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এক ভিডিও বার্তায় হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেইদা জানান, তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কোনও পণবন্দি গাজা থেকে বেঁচে ফিরতে পারবে না। ওবেইদা একথাও বলেন, শত্রুপক্ষের লক্ষ্যই হল আমাদের প্রতিরোধ ভেঙে ফেলা। কিন্তু আমরা আমাদের মাটি রক্ষা করতে এই পবিত্র লড়াই চালিয়ে যাব। বর্বর দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। হামাসের এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই গাজার মাটিতে বেলাগাম হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা।
আরও পড়ুন-বঞ্চ.নার প্রতি.বাদে পথে তৃণমূল
অন্যদিকে, ইজরায়েলের সেনা একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ঢুকে সুড়ঙ্গের খোঁজ করার সময়ে গোটা বাড়িটিকেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে প্যালেস্টাইনের আর এক সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জেহাদ। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল। গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের। এখনও পর্যন্ত নিহত প্যালেস্তাইনির সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মাঝে ৭ দিন যুদ্ধবিরতির পর গত ১ ডিসেম্বর থেকে ফের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। মাঝের ওই এক সপ্তাহে হামাস ১০৫ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল। তার মধ্যে ৮০ জন ছিলেন ইজরায়েলের। অন্যদিকে, ২৪০ জন প্যালেস্তানীয়কে মুক্তি দেয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ।