কেবেরহা, ১২ ডিসেম্বর : রিঙ্কু সিংয়ের দুরন্ত ইনিংস, মুকেশ কুমার, মহম্মদ সিরাজের ভাল বোলিং কাজে এল না। বৃষ্টি বিঘ্নিত সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ তে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫ উইকেটে হার ভারতের। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। এদিন হারায় ০-১ পিছিয়ে বৃহস্পতিবার জোহানেসবার্গে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে নামবে সূর্যকুমার যাদবের দল।
আরও পড়ুন-মনোজে মাতোয়ারা উৎসব, ফুরোলো নবমী নিশি
আগের রাতেও বৃষ্টি হয়। সারাক্ষণ পিচ ঢাকা ছিল। ম্যাচ চলাকালীনও বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। তাই সেন্ট জর্জেস পার্কে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাবেননি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক আইদেন মার্করাম। তার উপর ভারতের ইনিংসের শেষ ওভারে বৃষ্টি নামায় প্রোটিয়া ব্যাটারদের রান তাড়া করার কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। রিঙ্কু, সূর্যকুমারের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ভারতের করে ১৮০ রান। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ওভার কমে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে সংশোধিত টার্গেট দাঁড়ায় ১৫ ওভারে ১৫২। রিজা হেন্ড্রিক্স (৪৯), অধিনায়ক মার্করামের (৩০) আগ্রাসী ব্যাটিং জয়ের ভিত গড়ে দেয়। পরে মুকেশ, সিরাজ, কুলদীপরা চাপ বাড়ালেও ত্রিস্তান স্টাব, ডেভিড মিলাররা জয় ছিনিয়ে নেন। সাত বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন-ভারতীয় ফাইটার জেটে ডিজিটাল ম্যাপ
শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল ভারত। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই তিন উইকেট পড়ে যায়। প্রথম দু’ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের জায়গায় ওপেনিংয়ে ফেরেন শুভমন গিল। কিন্তু হতাশ করেন তরুণ তারকা। প্রথম ওভারেই যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট হারায় দল। মার্কো জানসেনের বলে কোনও রান না করেই আউট হন তিনি। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন শুভমন। তাঁর নামের পাশেও শূন্য। চাপ কাটিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক সূর্য ও তিলক ভার্মা। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে জেরাল্ড কোয়েটজির বলে তিলক আউট হন। ২০ বলে ২৯ রান করে আউট হন হায়দরাবাদের তরুণ। অধিনায়ক সূর্যর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন রিঙ্কু। শুরুতে একটু অস্বস্তিতে ছিলেন কেকেআর তারকা। প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলছেন। চাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। পিচের অসমান বাউন্স তাঁকে আরও চাপে ফেলে দেয়। সুইচ হিট খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের আবেদন ওঠে। আম্পায়ার আউট দেন রিঙ্কুকে। ক্যাপ্টেন সূর্যর সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ নেওয়া হয়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। রিঙ্কুর বিধ্বংসী ইনিংসের শুরুও সেখান থেকে।
আরও পড়ুন-প্রথমবার বিধায়ক, পরের ধাপেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা
১৪তম ওভারে সূর্য (৩৬ বলে ৫৬) ফেরার পর বাকি সময় বাইশ গজ একাই শাসন করেন রিঙ্কু। জানসেন, কোয়েটজি, আদিলে ফেলুকায়ো, মার্করাম কাউকেই রেয়াত করেননি। আন্তর্জাতিক টি-২০ তে এদিন প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন। এর পরেও ফোকাস হারাননি রিঙ্কু। অনবদ্য দু’টি ওভার বাউন্ডারি মারেন। ভারতীয় ইনিংসের ১৯.৩ ওভারে বৃষ্টি নামে। খেলা বন্ধ হয়। সে সময় ৩৯ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু। ন’টা বাউন্ডারি ও দু’টি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো নাইট তারকার আগ্রাসী ইনিংস। বৃষ্টির কারণে বাকি তিন বল আর খেলা হয়নি। ভারতের ইনিংস এখানেই শেষ হয়। আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপ। রিঙ্কুর মতোই ফিনিশারের খোঁজে টিম ম্যানেজমেন্ট। এদিনের ইনিংসে নির্বাচকদের খাতায় যেন নিজের নাম লিখে রাখলেন রিঙ্কু।