বিহারের গোপালগঞ্জ (Bihar Gopalgunj) জেলায় নৃশংসভাবে এক পুরোহিতকে হত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। গত ছয় দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, চোখ উপড়ানো ও যৌনাঙ্গ কাটা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে বিহার পুলিশ। এরপরেই এলাকায় ব্যপক অশান্তি ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় মানুষ। এই ঘটনার ফলে দুই পুলিশ কর্তা আঘাত পেয়েছেন।
আরও পড়ুন-জানুয়ারিতে খুলছে ‘জগন্নাথ করিডর’, পুরীতে ৩ দিন ধরে যজ্ঞ
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম মনোজ কুমার শাহ। গোপালগঞ্জ জেলারই দানাপুর গ্রামে এক শিব মন্দিরে পুরোহিত হিসেবে কাজ করতেন তিনি। গত রবিবার, মনোজ কুমার তাঁর বাড়ি থেকে শিব মন্দিরে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মনোজ কুমারের আরেক ভাই, সুরেশ শাহ সেই সময় মন্দিরেই ছিলেন। তিনি জানান তাঁর পরিবার ধরে নিয়েছিল যে মনোজ কুমার বাইরে কোথাও গিয়েছেন এবং ঠিক সময়ে ফেরত আসবেন। কয়েকদিন পরেও খোঁজ না পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। শনিবার বিকেলে, দানাপুর গ্রামের কাছে এক ঝোপ থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই মর্মে অভিযোগ করেন পুলিশের তদন্তে গাফিলতি ছিল। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সেখানেই সংঘর্ষ শুরু হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। গ্রামবাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শূন্যে পর পর কয়েকটি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গোপালগঞ্জ সদরের মহকুমা পুলিশ কর্তা, প্রাঞ্জল, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীকে শান্ত করেন।
আরও পড়ুন-নাগপুরে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির একটি কোম্পানিতে বিস্ফোরণ, মৃত ১০
এই মাসের শুরুতেই বিহারের বাগাহায়, মন্দির থেকে বাড়ি ফেরার পথে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল এক মন্দিরের পুরোহিত অরুণ পাণ্ডেকে। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হয়নি। পর পর এভাবে খুনের ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।