প্রতিবেদন : গণতন্ত্রের লজ্জা! গণ-সাসপেনশনের মাধ্যমে অধিবেশন কক্ষ বিরোধীশূন্য করে লোকসভায় তড়িঘড়ি পাশ করানো হল ভারতীয় দণ্ডসংহিতা বিল (Criminal Code Bills)। বিরোধীদের অভিযোগ, বিতর্ক-আলোচনা এড়িয়ে দ্রুত বিল পাশ করাতেই বিরোধীশূন্য করার ছক করেছে বিজেপি। কারণ লোকসভা ভোটের আগে সংসদের চলতি অধিবেশনেই ভারতীয় দণ্ডসংহিতা বিল পাশ করাতে মরিয়া ছিলেন অমিত শাহ। সেই অনুযায়ী, বুধবার লোকসভায় পাশ হল ভারতীয় দণ্ডসংহিতা বিল। কার্যত ফাঁকা ও বিরোধীশূন্য লোকসভায় বিল নিয়ে মুখ খুলে যথারীতি বিরোধীদের নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- মোদি নিজেও মিমিক্রি করেছেন, বললেন কল্যাণ
দণ্ডসংহিতা বিল (Criminal Code Bills) নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ করে এদিন শাহ বলেন, মন খোলা রাখলে বুঝতে পারবে, মন ইডলির মতো শক্ত হলে কিছুই বুঝতে পারবে না। এটা ভাষার সমস্যা নয়, মনের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাজদ্রোহ আইনকে দেশদ্রোহ আইনে পরিবর্তন করা হচ্ছে। জঙ্গি সমস্যা নির্মূল করতে এই প্রথম দেশে কঠোর আইন প্রণয়ন হচ্ছে। ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার পুনর্গঠন করার জন্য আগস্টে লোকসভায় যে তিনটি নতুন বিল পেশ করা হয়েছিল তা সরকার প্রত্যাহার করে। ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম বিল পেশ করেছিলেন শাহ। তারপরেই বিলগুলি সংসদের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কাছে আলোচনার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সংশোধনী-সহ নতুন বিলের খসড়া তৈরি করে ফের তা লোকসভায় পেশ করে কেন্দ্র। ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিনটি বিল এমন সময়ে লোকসভায় পাশ করা হল যখন দুই কক্ষের ১৪৩ জন সাংসদকে অন্যায়ভাবে সংসদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিলের বিভিন্ন ধারা নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি আছে বুঝেই বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করে তড়িঘড়ি ভারতীয় দণ্ডসংহিতা বিল পাশ করাল মোদি সরকার।