শীতকালীন অধিবেশনে দফায় দফায় সাংসদদের (MPs Protest) সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিরোধী সাংসদরা সংসদে হানাদারদের হামলা নিয়ে আলোচনা চাওয়ায় তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর বুকে মিছিলেন করেছিলেন ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা। আজ শুক্রবার বিরোধী সাংসদরা যন্তরমন্তরে ধর্ণা কর্মসূচি পালন করলেন। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, আপ, ডিএমকের-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরা। একইসঙ্গে ধর্না কর্মসূচী থেকে আওয়াজ উঠল, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে লড়াই চলবে।
এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, “লোকসভা ভোট যত এগোবে কেন্দ্রের বিরোধী জোটের নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে ইডি সিবিআই লেলিয়ে দেবে। কিন্তু ইডি সিবিআইয়ের ভয়ে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। মোদি সরকারের স্বৈরাচারী ও একনায়নতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। আমরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে লড়াই চালাব।” পাশাপাশি এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার বলেন, গণতন্ত্র বাঁচাতে বিরোধীরা সমস্ত ধরণের মূল্য দিতে তৈরি।
আরও পড়ুন- রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা, বাতিল একাধিক ট্রেন
ধর্নায় উপস্থিত থাকা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, “সংসদে ২ জন ঢুকে পড়ল। রঙ বোমা ছুড়ল। হামলার সময়ে বিজেপি সাংসদরা পালিয়ে গেলেন। বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন বিরোধী সাংসদরা। অথচ সংসদের ভেতর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলার অপরাধে বিরোধী সাংসদদের বের করে দেওয়া হল। আজ সংবাদমাধ্যম সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলছে না। বিরোধী সাংসদদের সাসপেনসন নিয়ে একটা শব্দও খরচ করছে না। কেন রাহুল সংসদ চত্বরে ধর্নায় বসা সাংসদদের ভিডিও তুললেন তা নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।”
এদিন শরদ পাওয়ার, মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, মৌসম বেনজির নূর, সীতারাম ইয়েচুরি সকল বিরোধী দলের নেতারাই (MPs Protest) এদিন ধর্ণায় উপস্থিত ছিলেন। সদ্য শেষ হওয়া অধিবেশনে সংসদে লোকসভা-রাজ্যসভা মিলিয়ে ১৪৬ জন সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন। সংসদে হামলায় তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেছিলেন। ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন।