প্রতিবেদন : গাজায় হামাসের হাতে এখনও পণবন্দি ১০০’র বেশি। তারপরেও যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে পাশ কাটিয়ে পণবন্দি উদ্ধারের চেয়ে গাজাকে ধ্বংসস্তূপ বানানোই অগ্রাধিকার ইজরায়েল সরকারের। রোজই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। তারই মাঝে ৫ পণবন্দির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে গাজার সুড়ঙ্গ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে এবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন পণবন্দিদের পরিজনরা। পার্লামেন্টে বক্তৃতা রাখার সময়ে পণবন্দিদের পরিজনদের প্রশ্নের মুখে পড়ে মাঝপথে ভাষণ থামাতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষোভ বাড়ছে বুঝে পরিস্থিতি সামলাতে আশ্বাস দিলেন, পণবন্দিদের ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব আমরা।
সোমবার পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী (Benjamin Netanyahu)। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ উগরে দেন পণবন্দিদের পরিজনরা। প্রিয়জনদের নাম লেখা পোস্টার, ছবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেন সকলে। সেইসময় নেতানিয়াহু তাঁদের বলেন, সেনার অভিযান শেষ করতে আরও সময় দরকার। তা শুনেই সুর চড়ান সকলে। নেতানিয়াহুর কথার বিরোধিতা করে পণবন্দিদের পরিজনরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, আর কোনও সময় নেই। যা করতে হবে, এখনই করতে হবে। এখন মানে এখনই। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁরা আরও বলেন, আমরা আপনাকে বিশ্বাস করি। আমরা ভেবেছিলাম আপনি সকলকে ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু এই ৮০ দিন অনেকটা সময়। এখন প্রতিটা দিন আমাদের নরকের মতো কাটছে। প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়ে সরকারের যাবতীয় প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা প্রতিটি কোনা খুঁজে দেখছি। আমাদের প্রয়াসে কোনও ত্রুটি নেই। অপহৃত সকলকে আমরা ফিরিয়ে আনবই। তাঁরা প্রত্যেকেই আমাদের কাছে সমান মূল্যবান। গাজায় আমাদের সেনারা প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের সন্তানদের বলিদান আমরা বৃথা যেতে দেব না। যারা আমাদের মৃত্যু কামনা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা জয় নিশ্চিত করবই।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরের পরিণতি হতে পারে গাজার মতো, আশঙ্কা ফারুকের