স্বামীজিকে অবমাননার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তৃণমূল, বিজেপির ক্ষমা চাওয়ার দাবি নিয়ে রাজপথে শশী পাঁজা-সায়নীরা

Must read

স্বামীজিকে অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা। মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ বাংলার প্রতিটি জেলা, ব্লকে, টাউনে বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে চলল প্রতিবাদ কর্মসূচি। যে কুরুচিকর ভাষায় বিজেপির রাজ্যসভাপ্তি যুগপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দকে কতূক্তি করেছেন তা বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতির পরিপন্থী। এরই বিরুদ্ধে এদিন কলকাতায়  শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে সিমলা স্ট্রিট স্বামীজির বাড়ি পর্যন্ত ফুটবল সহযোগে প্রতিবাদ মিছিল করে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। নেতৃত্ব দেন যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা ও উত্তর কলকাতার যুব সভাপতি শান্তিরঞ্জন কুন্ডু। সঙ্গে নেমেছিলেন হাজার হাজার যুবক-যুবতী। প্রতিবাদ মিছিলের পর স্বামীজির বাড়িতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান সকলে। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সহ গেরুয়া শিবিরের নেতাদের তীব্র আক্রমণ করেন সায়নী। তৃণমূল (TMC) যুব সভানেত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দরা বিজেপির নয়, তাই বাংলাও বিজেপির নয়। সুকান্ত মজুমদাররা ক্ষমা না চাইলে বাংলাও বিজেপিকে ক্ষমা করবে না।

মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দকে অপমানের পর ৪৮ ঘণ্টা হয়ে গেল। সুকান্ত মজুমদার এখনও ক্ষমা চাননি। আমাদের প্রশ্ন, শাহ-নাড্ডারা কি স্বামীজির এই অপমানকে সমর্থন করেন?” সোশ্যাল মিডিয়াতেও তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন স্বামীজিকে নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য নিয়ে বিজেপির নীরব থাকাটা প্রমাণ করে তাঁরা বধিরতা পালন করছেন। আমদের বাংলার মনীষীদের অনবরত অপমান করা হবে? এটাকে তাঁরা প্রশ্রয় দিচ্ছেন? সেই প্রশ্ন তোলার জন্যেই আজ বাংলা জুড়ে এই অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করবে তৃণমূল যুব কংগ্রেস।

আরও পড়ুন- বন্দিদের পরিজনদের ক্ষোভে, পার্লামেন্টে থামাতে হল বক্তৃতা

তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার প্রোফাইল পিকচারে স্বামী বিবেকানন্দের ছবি দেন। তিনি লেখেন, সুকান্ত মজুমদার স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা মন্তব্য না করে দেশের এক আইকনের প্রতি এই আচরণকে প্রশয় দিচ্ছেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি এই ধরনের আচরণ যত করবে ততবেশি করে মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করবে।”

ঘটনার সূত্রপাত, ‘গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের আরও নিকটবর্তী হইবে…’, স্বামী বিবেকানন্দের এই উক্তি নিয়ে গত রবিবার সরগরম ছিল বঙ্গ রাজনীতি। রবিবার ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তৃণমূল টেনে এনেছিলেন বিবেকানন্দকে। আর তৃণমূলকে জবাব দিতে গিয়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে ফেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘বাংলা দীর্ঘদিন ধরে সনাতন ধর্ম ও ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থান। তবে মাঝে বামপন্থীদের আন্দোলনের কারণে বাংলা কিছুটা বেসামাল হয়ে গিয়েছিল। অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। যারা বলছেন ফুটবল খেলা গীতা পাঠ অপেক্ষা ভাল, তারা বামপন্থী প্রোডাক্ট।’

Latest article