প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ করে খরিপ মরশুমে পেঁয়াজের চাষে উৎসাহ দিতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। খরিপ মরশুমে চাষের উপযুক্ত পেঁয়াজের বীজের যোগান সুনিশ্চিত করতে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যান পালন দফতর জাতীয় উদ্যান গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা এনএইচআরডিএফের সঙ্গে শীঘ্রই একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে। ওই সংস্থার গবেষণাগারে তৈরি ওই সব উচ্চমানের পেঁয়াজ বীজে পচন ধরার আশঙ্কা কম।
আরও পড়ুন-সমবায় সমিতিগুলিও সক্রিয় উন্নয়নের কাজে : বেচারাম
এছাড়া রাজ্যে পেঁয়াজ চাষের একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্যের উদ্যান পালন মন্ত্রী অরূপ রায় ও সচিব সুব্রত গুপ্ত সম্প্রতি এনএইচআরডিএফের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে স্থির হয়েছে, ওই সংস্থার বিশেষজ্ঞরা চলতি মাস থেকেই উদ্যানপালন আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে পেঁয়াজ চাষিদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের খরিপ মরশুমে পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবেন। উল্লেখ্য সাম্প্রতিক কালে রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন অনেকটাই বেড়েছে। তবে খরিপ মরশুমে পেঁয়াজের চাহিদা ও জোগানে ফারাক থাকায় ভিন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। ফলে পেঁয়াজের দাম ওই কয়েক মাস বেশ চড়া থাকে।
আরও পড়ুন-ট্রুডোকে তোপ জয়শঙ্করের
রাজ্যে বর্তমানে সব মিলিয়ে মোট ৮ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। যার বেশিরভাগটাই রবি মরশুমে চাষ হওয়া ‘সুখ সাগর’ প্রজাতির পেঁয়াজ। যেখানে রাজ্যে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে কম-বেশি ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন। এই ঘাটতি মেটাতে রাজ্যকে নাসিক, অন্ধ্র থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজ উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করার উপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মূলত তাঁরই উদ্যোগে বিগত কয়েক বছর ধরে খরিপ মরশুমে মুর্শিদাবাদ ও বাঁকুড়া জেলায় ‘এগ্রিফাউন্ড ডার্ক রেড’ প্রজাতির পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়েছে