প্রতিবেদন : রাজ্যের মুকুটে আবার নতুন পালক যোগ হল। আবারও কেন্দ্রীয় রিপোর্টে প্রথম হল বাংলা। এবার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহরের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান পেল বৈদ্যবাটি পুরসভা। সম্প্রতি দেশের হাউসিং ও আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের বিচারে ২০২৩ সালে স্বচ্ছ ভারত মিশনে গঙ্গার পশ্চিম তীরের শহর বৈদ্যবাটি পুরসভা বিরল সন্মানে ভূষিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-পাখোয়াজ বাজিয়ে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ছাত্রের
দেশের এক লক্ষ শহরের মধ্যে বৈদ্যবাটি পুরসভা ৪২৬ নম্বরে ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে পয়লা নম্বরে উঠে এসেছে বৈদ্যবাটি পুরসভা। লোকসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রের স্বীকৃতি বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাকে। রাজ্যের মধ্যে পরিচ্ছন্ন শহরের মর্যাদা প্রাপ্তিতে খুশির হাওয়া পুরকর্মীদের অন্দরে। রাজ্য সরকার পুরনগরোন্নয়ন দফতরের মাধ্যমে বৈদ্যবাটি পুরসভাকে সেরা পরিচ্ছন্ন শহরের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় হাউসিং ও আরবান বিষয়ক মন্ত্রকের ১৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল বৈদ্যবাটি শহরে আসেন। প্রায় এক সপ্তাহ ওই প্রতিনিধি দল শহরে বর্জ্য নিষ্কাশন, পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্যের পৃথকীকরণ ও পুর্নব্যবহারের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন। সেইসঙ্গে নিকাশি, রাস্তাঘাটের পরিচ্ছন্নতা সেগুলিও খতিয়ে দেখা হয়।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পেশ করল রাজ্য
এছাড়া জল অপচয় রোধ ও জল সঞ্চয়ে পুরসভার কার্যকরী ভূমিকা খতিয়ে দেখেন প্রতিনিধিরা। সমীক্ষার নিরিখে বাড়ি বাড়ি আর্বজনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৯৬ শতাংশ কাজ সুষ্ঠভাবে করেছে বৈদ্যবাটি পুরসভা। বর্জ্য সংগ্রহের পর সঠিকভাবে পচন ও অপচনশীল বর্জ্যকে ৮৩ শতাংশ সঠিক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্জ্য নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি নজরে আসেনি। এছাড়া শহরের জনবসতি ও বাজার-হাট এলাকার দুটি ক্ষেত্রেই ৯৪ শতাংশ স্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় ছিল। শহরের বিভিন্ন এলাকায় থাকা পুকুর ও জলাশয়গুলির মধ্যে ৮৮ শতাংশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় নজর কেড়েছে। জনসাধারণের জন্য ব্যবহৃত শৌচালয়ের মধ্যে ৮৩ শতাংশ ছিল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালের আদর্শ পরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম বৈদ্যবাটি। এর আগে বৈদ্যবাটি গ্রিন সিটির তকমা পেয়েছিল।