কনিষ্ঠতম আইএএস অফিসার
যে কোনও পরীক্ষাই কঠিন। সাফল্য পেতে হলে পরিশ্রম করতে হয়। সেটা যদি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন-এর পরীক্ষা হয়, তাহলে তো কথাই নেই। এই পরীক্ষায় সাফল্য পেতে বহু যুবক-যুবতী দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরান। ডুবে থাকেন বইয়ের পাতায়। তবু সবাই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পান না। কারণ অনেক সময় পন্থা ঠিক থাকে না। সঠিক পন্থা জানা থাকলে অল্প সময় পড়েও দেশের এই কঠিনতম পরীক্ষায় ভাল ফল করা যায়। সেই পথেই লক্ষ লক্ষ প্রার্থীদের টপকে এই পরীক্ষায় সফল হয়েছিলেন স্মিতা সবরওয়াল। তাও আবার মাত্র ২২ বছর বয়সে। দুই যুগ আগের ঘটনা। আজও তিনি উজ্জ্বল উদাহরণ। নতুন প্রজন্মের কাছে।
স্মিতা এক বঙ্গতনয়া। জন্ম ১৯৭৭-এর ১৯ জুন, দার্জিলিংয়ে। তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল প্রণব দাস। মায়ের নাম পূরবী দাস। বাবার সেনায় চাকরির সুবাদে স্মিতা বড় হয়েছেন দেশের বিভিন্ন শহরে। অবসর গ্রহণের পর বাবা হায়দরাবাদে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। স্মিতা সেখানেই স্কুলে পড়াশোনা করেন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ছোট থেকেই স্মিতা ছিলেন দারুণ মেধাবী। তুমুল আগ্রহ ছিল লেখাপড়ার প্রতি। পড়তেন বিভিন্ন বিষয়ের বই। তীব্র ছিল জানার খিদে। স্কুল জীবন শেষ করেন সেকেন্দ্রাবাদের সেন্ট অ্যান্স স্কুল থেকে। আইসিএসসি বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় তিনি সারা দেশের মধ্যে টপার হন। দ্বাদশ পাশের পর স্নাতক স্তরে ভর্তি হন সেন্ট ফ্রান্সিস ডিগ্রি কলেজ ফর ওম্যানে। বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করতেন স্মিতা।
পড়াশোনা শেষ করে সিদ্ধান্ত নেন, ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন। আর সেই সময় থেকেই শুরু হয় তাঁর নতুন লড়াই। বেছে নেন অন্য পদ্ধতি। দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই নিয়ে বসে না থেকে নির্দিষ্ট রুটিন মেনে পড়াশোনায় মনোযোগী হন। প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা বইয়ের পাতায় ডুবে থাকতেন। স্থির ছিলেন লক্ষ্যে। সাফল্য ছিল পাখির চোখ।
২০০০ সালে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। সবথেকে বড় কথা, সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথম চান্সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অর্জন করেন সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থান। চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট। চাকরি পান আইএএস পদে।
আরও পড়ুন-সাধারণতন্ত্র দিবসে সম্প্রীতির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তারা হাঁটলেন কুচকাওয়াজে
স্মিতা দেশের কনিষ্ঠতম আইএএস অফিসার হয়েছেন মাত্র ২২ বছর বয়সে। তেলঙ্গানা ক্যাডার থেকে আইএএস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিয়োগের পরে ছিলেন চিত্তুরে সাব-কালেক্টর। কুদ্দাপাহ গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্প পরিচালক, ওয়ারাঙ্গলের মিউনিসিপ্যাল কমিশনার এবং কুর্নুলের জয়েন্ট কালেক্টরের দায়িত্ব সামলেছেন। কর্মীনগর এবং মেডকে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর হিসেবেও বেশ কিছুদিন কাজ করেছেন। বহাল রয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবের পদে। এছাড়াও গ্রামীণ জল সরবরাহ বিভাগ এবং মিশন ভাগীরথীর সচিবের দায়িত্বও রয়েছে তাঁর কাঁধে।
তাঁর কাজের ধরন একেবারেই আলাদা। তাঁর সংগ্রাম, সততা এবং তাঁকে জনসাধারণের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ইতিমধ্যেই পেয়েছেন বেশকিছু পুরস্কার ও সম্মাননা। সমাজ মাধ্যমে দারুণ সক্রিয়। আজ তিনি বহু নারীর আদর্শ। তাঁকে সামনে রেখে অনেকেই উঠে এসেছেন, আগামী দিনেও আসবেন।
হাত ছাড়াই সাফল্য
কথায় বলে, অমুকের সাফল্যে তমুকের হাত। তবে সাফল্যে সবসময় যে হাত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে, তা কিন্তু নয়। এমন একজন আছেন যিনি নিজের দুটো হাত ছাড়াই লক্ষ্য পূরণ করেছেন। তাঁর কথা বলা যাক।
জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাস-কবলিত কিশতওয়ার জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম লোইধর। ওই গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের জন্ম শীতল দেবীর। ২০০৭-এর ১০ জানুয়ারি। আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক ছিল না তাঁর জীবন। জন্মেছিলেন দুটি হাত ছাড়াই। জন্মগতভাবে ফোকোমেলিয়া রোগের শিকার। তবে শীতল দেবী এই রোগকে কখনওই অভিশাপ মনে করেননি। তিনি এগিয়েছেন নিজের মতো করে। আপন ছন্দে। দুটো হাত নেই বলে কখনও কারও কাছে নতি স্বীকার করেননি। লড়াইয়ে পরিবার ছিল তাঁর পাশে।
আরও পড়ুন-দুই বিচারপতির বিতর্কে আজ সুপ্রিম শুনানি
২০১৯ সালে, ১১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস নর্দার্ন কমান্ড তাঁকে দত্তক নেয় এবং পরিবারকে সাহায্য করতে থাকে। ২০২১ সালে তাঁর পরিবার মেজর অক্ষয় গিরিশের মা মেঘনা গিরিশের কাছে কৃত্রিম অঙ্গের জন্য বিনীত অনুরোধ করে। মেঘনা গিরিশের সাহায্যে কৃত্রিম হাত পেতে সক্ষম হন শীতল।
ধনুর্বিদ্যার প্রতি ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে শারীরিক সমস্যা। তবু শীতল তাঁর বুক, দাঁত এবং পা দিয়ে ধনুর্বিদ্যার অনুশীলন শুরু করেন। তারপরে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে দেখা করেন প্রীতি রাইয়ের সঙ্গে এবং একটি স্পোর্টস এনজিওর সহায়তায় তিনি অল্প সময়ের মধ্যে তিরন্দাজিতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
প্রীতি রাইয়ের অনুপ্রেরণা এবং তাঁর নিজের কঠোর পরিশ্রমের ফলে শীতল ২০২৩ সালে বিশ্ব তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় একটি পদক জিতে নেন। মুখ ও পায়ের সাহায্যে শীতলকে তিরন্দাজি শেখানোর জন্য কোচ কুলদীপ বৈদওয়ান একটি বিশেষ কিট ডিজাইন করেন।
গুরু, পিতামাতার আশীর্বাদ এবং তাঁর নিজের কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ শীতল এশিয়ান প্যারা গেমসে দুটি সোনা এবং একটি রুপো সহ মোট চারটি পদক জেতেন।
শুধু কিশতওয়ার জেলারই নয়, শীতল দেবী এখন সারা দেশের আইকন। তিনি তাঁর শক্তি ও সাহসের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসিত হচ্ছেন। শীতল দেবীর লক্ষ্য দেশের জন্য অলিম্পিক্সে সোনার পদক জয়। হয়তো একদিন তাঁর মনোবাসনা পূর্ণ হবে।
সম্প্রতি প্রদান করা হয়েছে অর্জুন পুরস্কার। দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সম্মান জানিয়েছেন। পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন শীতল দেবীও। তিনি প্রথম ভারতীয় তিরন্দাজ, যিনি হাত ছাড়াই তিরন্দাজি করেছেন। এই মুহূর্তে সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
কী নেই ভুলে যেতে হবে। যা আছে, সেটা নিয়েই করতে হবে হার না-মানা লড়াই। তবেই আসবে সাফল্য। মানবজাতিকে এই পাঠ দিলেন শীতল দেবী।
আরও পড়ুন-গলল বরফ? সাধারণতন্ত্র দিবসে ভারতকে শুভেচ্ছা কানাডার
এক দ্বীপের একা নারী
ইতালির পিয়াসোনা। চারদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশি। উত্তাল ঢেউ। তার মধ্যে মুখ তুলে জেগে রয়েছে ক্ষুদ্র দ্বীপটি। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দেখে চোখ ও মন জুড়িয়ে যায়।
একসময় এই দ্বীপটিকে কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা হত। আমাদের যেমন আন্দামান। সে বহু বছর আগের কথা। বন্দি থাকতেন সাজাপ্রাপ্তরা। বর্তমানে দ্বীপটিকে অপরাধীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ওই দ্বীপে থাকেন জুলিয়া মানাক। তিনি সুন্দর মনের এক নারী। সবসময় নতুন কিছু করতে চান। চান ভাল কিছু করতে। এই প্রসঙ্গে বলে নেওয়া দরকার, তিনি কিন্তু অপরাধী নন। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, তিনি ওই দ্বীপে গেলেন কেন? থাকেন কেন? কীভাবে পৌঁছলেন?
এখন থেকে ১৩ বছর আগে, ২০১১ সালে জুলিয়া প্রথমবার ওই দ্বীপে পা রাখেন। ওঠেন সৈকতের একটি হোটেলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নেন, কিছুদিন ওই দ্বীপে থাকবেন। তারপর একটা সময় তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন।
কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর সিদ্ধান্ত একেবারেই বদলে যায়। তিনি অজান্তেই দ্বীপটির প্রেমে পড়ে যান। একটা সময় হয়ে যান ওখানকার স্থায়ী বাসিন্দা।
তিনি যে হোটেলে থাকতেন সেটা দেখাশোনা করতেন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা। বদলে যায় পরিস্থিতি। বর্তমানে জুলিয়া ওই হোটেলটির দেখাশোনা ও দ্বীপে অপরাধীদের পুনর্বাসন কর্মসূচি দেখাশোনা করেন।
সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জুলিয়া জানিয়েছেন, দ্বীপে অসাধারণ একটা লম্বা ছুটি কাটিয়েছিলাম। মুগ্ধ হয়েছিলাম অপরাধীদের পুনর্বাসন প্রকল্প দেখে। বন্দিরা দ্বিতীয়বার বাঁচার সুযোগ পান এখানে। সবকিছু দেখে দ্বীপের প্রেমে পড়ে যাই। পাশাপাশি প্রেমে পড়ে যাই এখানকার তারকাখচিত আকাশ, অসীম জলরাশির।
ইতালিয়ানরা এই দ্বীপটিকে একসময় ‘শয়তানের দ্বীপ’ নামকরণ করেছিল। সেই দ্বীপেই থাকছেন জুলিয়া। একা নারী হিসেবে। এখন সেটি বহু পর্যটকের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। দ্বীপটিতে স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে জুলিয়া ছাড়াও রয়েছেন একজন কারারক্ষী এবং ১০ সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
আরও পড়ুন-রামচরিতমানস বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিল সপা নেতা মৌর্যকে
যখন তিনি দ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন, তখন হোটেলের কর্মীরা তাঁকে জানান, আর্থিক সমস্যায় ভুগছে হোটেলটি। তেমনটা হলে হোটেলের কর্মীদের ফের কারাগারে ফেরত পাঠাতে হবে।
ওই কথা শুনেই মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে জুলিয়ার। তৎক্ষণাৎ হোটেল কর্মীদের দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হোটেলটিকে তিনি জন্মদিন ও বিয়ের পার্টির জন্য ভাড়া দিতে থাকেন। আসতে থাকেন পর্যটকরা। বাড়তে থাকে ব্যবসা। তাতেই বদলে যায় পরিস্থিতি।
এখন সপ্তাহে একদিন নিজের দেশে যান জুলিয়া। প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফের ফিরে আসেন পিয়সোনায়। এই দ্বীপ এখন তাঁর ধ্যানজ্ঞান। অপরাধীরাই এখন হোটেল চালান। জুলিয়ার তত্ত্বাবধানে সবকিছুই এগোচ্ছে ঠিকঠাক। স্বাভাবিক গতিতে।
সমুদ্র একই রকম আছে। যেমন থাকে। বিস্তৃত নীল জলরাশি। উত্তাল ঢেউ। তবে সেই শয়তানের দ্বীপ আজ ঈশ্বরীর দ্বীপে পরিণত হয়েছে। এক দেবীর নরম হাতের ছোঁয়ায়।
বিস্ময় কন্যা
বয়স মাত্র ৯। বন্ধুদের সঙ্গে খেলে বেড়ানোর বয়স। এই বয়সেই ছোট্ট মেয়েটি সারা পৃথিবীতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। তাকে নিয়ে চলছে জোর চর্চা। মেয়েটির নাম প্রিশা চক্রবর্তী। কী করেছে সে? এই বঙ্গ তনয়া জন হপকিনস সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথের মনোনয়নে পেয়েছে ‘বিশ্বের উজ্জ্বলতম ছাত্রী’-র শিরোপা। বিশ্ব জুড়ে ৯০টি দেশের মোট ১৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে হয়েছে সেরা। এ বড় কম কথা নয়।
জন হপকিনস সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ সংস্থা ৯ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি সমীক্ষামূলক মূল্যায়ন করেছে। তারই ভিত্তিতে সেরার শিরোপা পেয়েছে প্রিশা। ফল প্রকাশের পরই হইহই পড়ে গিয়েছে। তার ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলায়।
প্রতি বছর এই পরীক্ষায় সারা বিশ্বের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীই হাই অনার্স বা গ্র্যান্ড অনার্স ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। পরীক্ষার অংশ হিসেবে বাচিক ও গণনামূলক মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে প্রিশাকে। তার পারফরম্যান্স পার্সেন্টাইল ছিল ৯৯। এইভাবেই গ্র্যান্ড অনার্সের খেতাব জিতে নেয় ইন্ডো-আমেরিকান বংশোদ্ভূত প্রিশা। এই বিস্ময় কন্যা ইতিমধ্যেই বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উচ্চ আইকিউ সোসাইটি মেনসা ফাউন্ডেশনের লাইফ মেম্বার। এই সোসাইটির মেম্বার হতে গেলে ন্যূনতম ৯৮ পার্সেন্টাইল নম্বর পাওয়া দরকার। কঠিন বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষাও উত্তীর্ণ হতে হয়। এর আগে মাত্র ৬ বছর বয়সেই এবিলিটি টেস্টে ৯৯ পার্সেন্টাইল অর্জন করে প্রিশা। ধারাবাহিকভাবেই ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স করে এসেছে।
নতুন কিছু শেখার জন্য সবসময় মনোযোগী সে।
৯ বছর বয়সী এই মেধাবী ছাত্রী পড়াশোনা ছাড়াও ঘুরে বেড়াতে ভালবাসে। সময় সুযোগ পেলেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে। হয় দূরে কোথাও, নয় কাছেপিঠে। খেলাধুলার প্রতিও তার যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। ভালবাসে হাইকিং এবং মিক্সড মার্শাল আর্ট। তার মা-বাবার কথায়, শেখার প্রতি মেয়ের দারুণ আগ্রহ। বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চায়। সাজিয়ে দেয় প্রশ্ন।
জন হপকিনস সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথের পরীক্ষাটি ছিল গ্রেড ফাইভের উপর ভিত্তি করে। যথেষ্ট কঠিন বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্টে অবস্থিত ওয়ার্ম স্প্রিং এলিমেন্টারি স্কুলের গ্রেড থ্রি-র ছাত্রী প্রিশা। এই জন্যই তাকে গ্র্যান্ড অনার দেওয়া হয়েছে, যা অর্জন করা খুব কঠিন শুধু নয়, বিরলও।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালে স্থাপিত হয় জন হপকিনস সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ। এই সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এমি শেলটন জানান, এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী। আমরা তাদের উৎসাহ দিই আরও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য, সমাজের সর্বস্তরে মেশার জন্য, যাতে তারা আরও জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং অর্জিত জ্ঞানকে যাচাই করে নিতে পারে। অন্য আরও বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের সঙ্গে মেলামেশা করে বিভিন্ন চিন্তাধারাকে বুঝতে অনুপ্রাণিত করি আমরা।
প্রিশাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে পরিবার, আত্মীয়স্বজন, স্কুল, শুভানুধ্যায়ীরা। স্বপ্ন দেখছে সারা বিশ্ব। আগামী দিনে আরও অনেক সাফল্য অপেক্ষা করছে তার জন্য। শুধু লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যেতে হবে।