প্রতিবেদন : বিজেপি ধর্ম নীতি মাতামাতি করলেও নীতি-নৈতিকতার যে ধার ধারে না, আবার তা প্রমাণিত হল। পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক নেতার বিরুদ্ধে। অবসাদে শেষমেশ আত্মঘাতী হলেন ওই নেত্রী। বাঁকুড়ার সোনামুখীর ঘটনা। গুণধর ওই বিজেপি নেতা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক তরুণ সামন্ত। ঘটনার পর থেকেই ফেরার। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের এক নেতার কুকীর্তি প্রকাশ্যে চলে আসায় নেতৃত্ব অস্বস্তিতে।
আরও পড়ুন-গদ্দারের কাঁথিও ক্রমশ বিজেপি-শূন্য হয়ে উঠছে
গত পুর নির্বাচনে মৃতা বিজেপি নেত্রী ওই পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হন। তখন দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন তরুণ। সেই সময়েই ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা। তাতেই টোপ দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই বিজেপি নেতা। অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও করে রাখেন তরুণ। মাঝেমধ্যেই সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন। প্রতিবাদ করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। বিষ্ণুপুরে মিটিংয়ের নাম করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। মৃতার স্বামীর অভিযোগ, দিনের পর দিন এই অপমান সহ্য করতে না পেরে ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঘরে আত্মহত্যা করেন ওই নেত্রী। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। রাজ্য বিজেপি নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।