প্রতিবেদন : ইকবালপুরের বেসরকারি (private) এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অনিয়মের একগুচ্ছ অভিযোগ। রোগী পরিষেবার নামে দিনদুপুরেই চলছে সর্বস্ব লুঠ। কখনও চিকিৎসক রোগীকে একবারও না দেখলেও বিলে ১২টি ভিজিট ধরা হয়েছে এবং তার জন্য ভিজিট প্রতি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা ধার্যও করা হয়েছে। এভাবেই দুই চিকিৎসকের নামে প্রায় ১৮ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার ভর্তি হওয়ার পর অস্ত্রোপচার হওয়ার আগেই রোগী বাড়ি ফিরে গেলেও বিল বানানো হয়েছে মোট ৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার।
আরও পড়ুন-মুম্বই বিমানবন্দরে হুইলচেয়ার অমিল, মৃ.ত্যু মার্কিন বৃদ্ধের
এইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনেরও। এক অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার শুনানির পর কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গোটা বিলটাই ছিল ত্রুটিপূর্ণ। বিলে ৪২৬৪ টাকা মূল্যের ২০টি ওষুধ ধরে ৮৫ হাজার টাকা বিল করা হয়েছে। অথচ ওই একই ওষুধ অন্য জায়গায় আরও কমে বিক্রি হয়। তবে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, ওই হাসপাতালের মধ্যেই বেসরকারি এক সংস্থা আর্থিক ঋণ দেওয়ার কারবার করছে। বেসরকারি সংস্থাকে কর্পোরেট স্পনসর দেখিয়ে হাসপাতালের বিল মেটানোর পর রোগী পরিবারের উপর চাপানো হচ্ছে মোটা অঙ্কের ঋণের বোঝা। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, রোগীর ওপর এভাবে ঋণের বোঝা চাপানো যায় না। পুলিশকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।