প্রতিবেদন : ভারত-বিরোধী লেখালেখির অভিযোগ তুলে তাঁর উপর চাপ তৈরি করেছিল মোদি সরকার। শেষমেশ কেন্দ্রের চাপেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন ফরাসি সাংবাদিক ভেনেসা ডগনাক। এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের অভিযোগ ছিল, তাঁর লেখা নিবন্ধগুলি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার পক্ষে ক্ষতিকর। এই ঘটনার জেরে চলছিল মামলাও। এরই মাঝে ভারত ছাড়লেন ভেনেসা। যাওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগপ্রবণ পোস্ট করেন তিনি।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের রিপোর্টকে কটাক্ষ তৃণমূলের
সেখানে উল্লেখ করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে চলতে থাকা আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আর অপেক্ষা করতে রাজি নন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বিদেশি সাংবাদিক লেখেন, আমি ভারত ছাড়ছি। ২৫ বছর আগে যে দেশে এসেছিলাম পড়ুয়া হিসেবে। সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছি ২৩ বছর। এখানেই আমি বিয়ে করেছি, ছেলের জন্ম দিয়েছি এবং একেই আমি আমার বাড়ি বলতাম। একইসঙ্গে ভেনেসা জানান, তিনি স্বেচ্ছায় ভারত ছাড়ছেন না। বরং ভারত সরকারই তাঁকে জোর করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করল।
প্রসঙ্গত, লা ক্রক্স ও লা পয়েন্টের মতো ফরাসি প্রকাশনার করেসপন্ডেন্ট ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-আন্দোলন রুখতে নয়া কৌশল? কৃষকদের চাল, গমের বদলে ডাল, ভুট্টা, তুলো উৎপাদনের পরামর্শ
পাশাপাশি বেলজিয়ান দৈনিক লা সয়র ও সুইস সংবাদপত্র লা টেম্পসেও কাজ করতেন ভেনেসা। গতমাসে কেন্দ্রের ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের তরফে এই সাংবাদিককে নোটিশ দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ভেনেসার ওসিএল কার্ড বাতিল হতে পারে। কেননা তিনি ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে কোনও বিশেষ অনুমতি ছাড়াই এখানে সাংবাদিকতা করছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের চাপের মুখে ভারত ছাড়তে বাধ্য হলেন বিদেশি সাংবাদিক।