নাভালনির দেহে গভীর কালশিটে, উঠছে প্রশ্ন

এদিকে নাভালনির মৃতদেহ পেতে প্রয়াত নেতার মা লিউডমিলা নাভালনেয়া আর্কটিক জেলে বহুক্ষণ অপেক্ষার পর ফিরে আসতে বাধ্য হন।

Must read

প্রতিবেদন : রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। রাশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় বিরোধী নেতা তথা কট্টর পুতিন বিরোধী অ্যালেক্সি নাভালনির মৃতদেহ এখনও হাতে পায়নি তাঁর পরিবার। গোটা বিশ্ব জুড়েই দাবি উঠেছে, নাভালনির হত্যার তদন্ত চাই। আমেরিকা ও ইউরোপ-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা সরাসরি নাভালনির মৃত্যুর জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেছেন। এরই মধ্যে এক রুশ সংবাদপত্র সূত্রে চাঞ্চল্যকর দাবি উঠেছে। বলা হয়েছে, নাভালনির মৃতদেহের বিভিন্ন অংশে গভীর কালশিটের দাগ রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করেই খুন করা হয়েছে রাশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় বিরোধী নেতাকে। এক চিকিৎসকের বয়ান উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, নাভালনির মাথায় ও বুকে কালশিটে দাগ রয়েছে। জেলের মধ্যে কেউ মারা গেলে নিয়মমতো যে ফরেনসিক তদন্ত হওয়ার কথা তাও এক্ষেত্রে হয়নি। ১৯ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে আর্কটিক জেলে বন্দি ছিলেন নাভালনি। জেলে তাঁর রহস্যমৃত্যু নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে ক্রেমলিন।

আরও পড়ুন-ভারত-বিরোধিতার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের চাপ, দেশে ফিরলেন ফরাসি সাংবাদিক

এদিকে নাভালনির মৃতদেহ পেতে প্রয়াত নেতার মা লিউডমিলা নাভালনেয়া আর্কটিক জেলে বহুক্ষণ অপেক্ষার পর ফিরে আসতে বাধ্য হন। ছেলের দেহ কোথায় তা নিয়ে নীরব রুশ প্রশাসন। এই গোপনীয়তা অস্বাভাবিক মৃত্যুর তত্ত্বকেই জোরালো করছে। তিনদিন ধরে পরিবারকে জানানোই হয়নি ঠিক কোথায় তাঁর দেহ রাখা রয়েছে। আর্কটিক জেলের মর্গে ঢুকতে দেওয়া হয়নি নাভালনির মা ও আইনজীবীকে। এক আইনজীবীকে কার্যত ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা, এমনটাই দাবি নাভালনির মুখপাত্রের। অন্যদিকে নাভালনির মৃত্যুতে ফের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রবল চাপের মুখে পড়তে চলেছেন পুতিন। সোমবারই বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা প্রয়াত নেতার স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনেয়ার। পুতিনের উপর চাপ বাড়াতে সরব ইউরোপের অধিকাংশ দেশ।

Latest article