প্রতিবেদন : সোমবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে নামার আগে আরও একবার রেফারিং নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। বিতর্কিত দুই রেফারির নাম করে তোপ দাগার পাশাপাশি লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচের দাবি, খারাপ রেফারিংয়ের কারণে শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে অন্তত তিনটিতে পাঁচ পয়েন্ট হারাতে না হলে দল এখন আইএসএলের প্রথম ছয়ে থাকত।
আরও পড়ুন-সন্দেশখালি নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ হোক
সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আইএসএলে ফিরে মশাল নিভেছে। শেষ ম্যাচে জামশেদপুর এফসি-র কাছে হেরে আইএসএলে প্লে-অফের ওঠার লড়াই কঠিন হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। সোমবার যুবভারতীতে প্লে-অফের দৌড়ে থাকার নতুন পরীক্ষা ক্লেটন সিলভাদের। লিগ টেবলে ৯ নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, চেন্নাইয়িন রয়েছে ১০ নম্বরে। রাহুল গুপ্ত, ক্রিস্টাল জনদের রেফারিং নিয়ে রীতিমতো দুঃস্বপ্ন দেখছেন বলে জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। ক্ষুব্ধ কুয়াদ্রাত ম্যাচের আগের দিন তোপ দেগে বললেন, ‘‘রাহুল গুপ্ত, ক্রিস্টাল জনদের রেফারিং নিয়ে আমি তো দুঃস্বপ্ন দেখি। শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে ৫ পয়েন্ট হারিয়েছি আমরা। দু’পয়েন্ট ওড়িশা ও মোহনবাগান ম্যাচে এবং এক পয়েন্ট হারিয়েছি শেষ ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে। না হলে আমরা এখন প্রথম ছ’য়ে থাকতাম। আমার মনে হয়, বারোটা দল ছাড়া এবারের লিগে রেফারিদের দলও অংশ নিচ্ছে। কিন্তু তাদের সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। দল খারাপ খেললে কোচেদের সরিয়ে দেওয়া হয়। রেফারিদের কী হবে!’’
আরও পড়ুন-সর্বভারতীয় ইউপিএসসি ১৪ স্থান পেয়ে নজির জঙ্গলমহলের ছেলের
ক্লেটন, নন্দকুমারদের কোচ আরও বলেন, ‘‘ফুটবলে খেলোয়াড়রাই গুরুত্বপূর্ণ। কোচ, ম্যানেজার, রেফারি কেউ নয়। তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। গত এক দশকে ভারতীয় ফুটবল এগিয়েছে। কিন্তু উন্নতি হয়নি রেফারিংয়ের। রেফারিরা এখানে নায়ক হতে চায়। তাই খেলোয়াড়, কোচ সবাইকে কার্ড দেখাতে চায়। কিন্তু তাদের দেখতে কেউ মাঠে আসে না। বিদেশের অনেক লিগেও রেফারিং ভাল হয় না। কিন্তু সেখানে উন্নতির চেষ্টা থাকে। এখানে সেটা হয় না।’’
আরও পড়ুন-রাঙামাটির পতিত জমিতে বিকল্প চাষাবাদ, সম্ভব করেছে রাজ্যের মাটির সৃষ্টি প্রকল্প
চেন্নাইয়িন এবার লিগ টেবলে নিচের দিকে। শেষ ম্যাচেও তারা হেরেছে। কিন্তু রেফারিং নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে দলের গোল নষ্টের প্রবণতাও গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে ইস্টবেঙ্গলের। যদিও চেন্নাইয়িন ম্যাচের আগে তা নিয়ে চিন্তিত নন কুয়াদ্রাত। তিনি বললেন, ‘‘আমরা প্রতি ম্যাচে গোলের প্রচুর সুযোগ তৈরি করছি। সেটাই বড় ব্যাপার। গোল নষ্ট খেলার অঙ্গ। সুযোগ তৈরি না হলে উদ্বেগে থাকতাম। আশা করি, এই ম্যাচ জিতে আমরা প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখব। ইস্টবেঙ্গল এমন একটা দল যারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে। আমাদের প্লে-অফ খেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।’’ এদিকে, স্প্যানিশ মিডিও সাউল ক্রেসপোর ম্যাচ খেলার জায়গায় আসতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।