প্রতিবেদন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শেষ দিন পর্যন্ত ধরা পড়েছে ৪১টি মোবাইল। এই কুকর্মে বেশ কিছু স্কুলের অশিক্ষক কর্মীরা জড়িত। বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন-আগামী বছর ৩ মার্চ শুরু উচ্চমাধ্যমিক
পরীক্ষা শুরুর দিন থেকেই দেখা গিয়েছিল যেসমস্ত কেন্দ্রগুলি স্পর্শকাতর নয়, সেখান থেকে ফোন ধরা পড়েছে। পরীক্ষার শেষদিন পর্যন্ত ৪১টি ফোন বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি এদের প্রত্যেকের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়িতে এইরকম বেশ কিছু অশিক্ষক কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু কেন্দ্রে ইচ্ছা করে বহিরাগতদের ঢুকতে দিচ্ছেন অশিক্ষক কর্মচারী বা শিক্ষকরা। সংসদ তাঁদের চিহ্নিত করেছে। আগামী বছর এই সংখ্যাটা একেবারে নির্মূল করা যাবে কি না জানি না, তবে নিশ্চয়ই কমানো যাবে। যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে সংসদের তরফে। ওই জেলাগুলিতে কেন্দ্রে মোবাইল অনুমোদন করা হয়েছে। সেগুলো আমরা দেখছি।
আরও পড়ুন-১০০ দিনের টাকা পাওয়ায় খুশিতে বঞ্চিতরা
যে ফোনগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলো পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ফোনগুলোর তথ্য খতিয়ে দেখবে। সেখান থেকে যে তথ্য পাচার করা হয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে। এরপর সেই ফোন আদৌ আর ফেরত দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে যেহেতু এর সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে তাই একটু নমনীয় ভাবেই বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে বলে এদিন জানান ব্রাত্য বসু। অন্যদিকে, পরীক্ষার আগেই ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ধরাও পড়েছে মূল পান্ডা। দেখা গিয়েছে ওই পান্ডা ধরা পড়তেই প্রশ্নফাঁসের ঘটনা আর ঘটেনি। এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, বেশ কিছু অসাধু চক্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দিয়েছিল, যাতে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা যায় এবং সরকারকে কালিমালিপ্ত করা যায়। এ ধরনের নানারকম প্রয়াস তারা চালিয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি।