প্রতিযোগিতার দৌড়ে তাঁতশিল্প সামনের সারিতে

হালফ্যাশনের নকশা ও নিত্যনতুন বস্ত্রসম্ভার নিয়ে প্রতি বছর এই প্রদর্শনী ও মেলা হয়। এবার ২৬ তম বর্ষ। প্রতিবারই বিক্রিবাটা কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।

Must read

সংবাদদাতা, কাঁথি : প্রতিযোগিতার দৌড়ে রাজ্যের তাঁতশিল্প এখন অনেকটাই সামনের সারিতে উঠে এসেছে। তাঁতশিল্প ও তাঁতিদের প্রচার এবং প্রসারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতরের আর্থিক সহায়তায়, কাঁথির শ্রীঅরবিন্দ স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ‘তাঁতবস্ত্র হস্তশিল্প ও খাদিপ্রদর্শনী ও মেলা।’

আরও পড়ুন-পরীক্ষা কেন্দ্রে মােবাইল, নেপথ্যে স্কুল কর্মীদের একাংশ

আয়োজক কাঁথি হস্ততাঁত উন্নয়ন আধিকারিকের দাবি, নতুন প্রজন্মের তন্তুবায়দের এই মেলা বিশেষভাবে উৎসাহিত করবে। কারণ মেলার জন্য বিভিন্ন জেলার তাঁতিরা আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেরা বস্ত্রসম্ভার বানিয়ে এই মেলায় এনেছেন। এই মেলার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কাঁথি মহকুমা প্রশাসন ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। হালফ্যাশনের নকশা ও নিত্যনতুন বস্ত্রসম্ভার নিয়ে প্রতি বছর এই প্রদর্শনী ও মেলা হয়। এবার ২৬ তম বর্ষ। প্রতিবারই বিক্রিবাটা কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এখানে ফড়েদের এড়িয়ে তাঁতিরা সরাসরি বিক্রেতাদের বিক্রি করেন। ফলে বেশি দাম পান। দরদাম করে কেনায় ক্রেতারাও লাভবান হন। এবার ৫৯টি স্টল হয়েছে, চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধন করে মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, তাঁতশিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে এবং খোলাবাজার অর্থনীতিতে এই ধরনের উদ্যোগ খুবই কার্যকর। এতে তাঁতশিল্পের উৎপাদন বাড়বে। বাড়বে তাঁতের বাজারও। তাছাড়া রাজ্য সরকার সব সময় তাঁতশিল্পীদের পাশে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন কাঁথির পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি। এই মেলায় মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া, কুচবিহার, বীরভূম, হাওড়া, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাথমিক তন্তুবায় সমবায় সমিতি এবং হস্ততাঁত মহল্লাগুলির সম্ভার নিয়ে তাঁতিরা এসেছেন।

Latest article