বাস, ট্রাক, ট্যাক্সির সঙ্গে এবার ভোটে প্রথম বারের জন্য প্রার্থীর খরচ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে টোটো বা ই-রিক্সাও (E Rickshaw)। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ছোট হওয়ায় ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম গলির মধ্যে সহজেই প্রবেশ করতে পারে টোটো। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিগত কয়েকটি নির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রে টোটোকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। এই কারণেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রে টোটো (E Rickshaw) ব্যবহার হলেই, সেই বাবদ কত খরচ হল তার হিসাব দিতে হবে প্রার্থীকে। প্রার্থীর ভোট খরচের সঙ্গে তা যুক্ত করা হবে বলে এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
একজন প্রার্থী ভোটে ৯৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারেন। সেই খরচের মধ্যেই এবার যুক্ত হবে টোটো দিয়ে সহযোগে প্রচারের খরচও। তবে নির্বাচনী প্রচারে টোটোর ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়ম বিধি আরোপ করেছে কমিশন। প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে জারি করা ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও প্রার্থীর প্রচারে টোটো বা ই-রিক্সা ব্যবহার করা হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে আগে থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তার বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। কত গুলি টোটো কোন এলাকায় কীভাবে প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হবে তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে হবে প্রার্থীকে।
আরও পড়ুন- রাজনৈতিক নেতার হাতে ধ.র্ষণ, থানায় অভিযোগ নাবালিকার
এছাড়াও নির্দেশিকায় কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও পারমিটহীন বা অনুমোদনহীন টোটো প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। পুর এলাকায় প্রচারে টোটো ব্যবহার হলে সেই টোটোকে সংশ্লিষ্ট পুরসভা থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত হতে হবে। পঞ্চায়েত এলাকায় টোটোর ব্যবহার হলে সেই টোটো চালককে আগে থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে পারমিট সংগ্রহ করতে হবে বলেও ওই নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও কমিশন জানিয়েছে, কোনও টোটো স্বেচ্ছায় কোনও রাজনৈতিক দলের পোস্টার লাগিয়ে যাত্রী বহনের কাজ করতেই পারে সেক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে প্রচারের কাজে ব্যবহার হলেই টোটো চালককে আলাদা করে পারমিট সংগ্রহ করতে হবে।