প্রতিবেদন : জনগর্জনের ব্রিগেডে ৪২-এ ৪২ প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আর তারপর থেকেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন প্রার্থীরা। কর্মীরা শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন। প্রার্থীরা ঝড় তুলতে শুরু করেছেন প্রথম দিন থেকেই। কেউ মন্দিরে পুজো দিয়ে, কেউ মাজারে চাদর চড়িয়ে শুরু করেছেন প্রচার।
দেওয়ালে দেওয়ালে জোড়াফুল প্রতীকের সঙ্গে শোভা পেতে শুরু করেছে প্রার্থীর নাম। সময় নষ্ট না করে রং-তুলি হাতে কোমর বেঁধে দেওয়াল লিখনে নেমে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। বাংলা-বিরোধীদের বিসর্জন দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়েই শুরু তৃণমূলের প্রচার।
আরও পড়ুন-ধন্বন্তরি মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু হল প্রতিমার ভোট প্রচার
কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, কলকাতা থেকে কালনা— ফুরসত নেই কর্মীদের। কিছু কিছু জায়গায় প্রার্থীরাও হাত মেলালেন কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেওয়াল লেখার কাজে। ফলে কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের নামে রবিবারই দেওয়াল লেখেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। বিজয়গঞ্জ ও যাদবপুরের পর পাটুলিতে, তারপর সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফেরদৌসি বেগমের সঙ্গে দেওয়াল লিখন কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রার্থীও। জয়নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি কেন্দ্রের প্রার্থী উত্তম বারিকের নামেও দেওয়াল লিখন শুরু হয়।
আরও পড়ুন-রমজানের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের
কিছু এলাকায় প্রার্থী নিজেই রং–তুলি নিয়ে দেওয়াল লিখনে হাত লাগান৷ তমলুকে যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের নামে কর্মীরা দেওয়াল লিখন শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে হাত লাগান প্রার্থী নিজেও৷ আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী প্রকাশচিক বড়াইকের সমর্থনে চলছে দেওয়াল লিখন৷ সোমবার দুর্গাপুরে মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে দেওয়াল লিখন শুরু তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদ৷ তেমনই উত্তর কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতাতেও যথাক্রমে প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মালা রায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখন হয়। রাসবিহারী এলাকায় নিজে হাতে দেওয়াল লিখন দিয়ে প্রচার শুরু করলেন মালা রায়। হাওড়ার প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে ঝড় তোলেন প্রথম দিনেই। এছাড়া উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম— সর্বত্রই দেওয়াল লিখন ও প্রচারে ঝড় ওঠে।