সংবাদদাতা, কাটোয়া : অপেক্ষার অবসান। খুলছে স্কুল-কলেজ। খুশির হাওয়া পড়ুয়ামহলে। কতদিন বাদে বন্ধুবান্ধবের পাশে বসে ক্লাস করা যাবে। খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। স্কুল পর্যায়ে নবম থেকে দ্বাদশ, চারটি শ্রেণির ক্লাস হবে।
আরও পড়ুন-পারমাণবিক ঘড়ি দিয়ে মাপা হচ্ছে স্থানভেদে সময়ের বদলকে
পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে জোরকদমে ক্লাসরুম-সহ স্কুলের পরিকাঠামো সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কারের জন্য ৭৫০টি স্কুল শিক্ষা দফতরের পোর্টালে আবেদন করেছিল। ৩৬০টি স্কুলের সংস্কারের জন্য ৭ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
শিক্ষক তথা জেলা তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের নেতা বিশ্বনাথ সাহা, প্রধান শিক্ষক আনারুল মণ্ডলরা বলছিলেন, স্কুল খুললে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক মেনে চলেন, সেই বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-পারমাণবিক ঘড়ি দিয়ে মাপা হচ্ছে স্থানভেদে সময়ের বদলকে
তবে বিধি সম্পর্কে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে পরামর্শ করে ইতিমধ্যেই একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে শিক্ষা দফতর। ২৮ পাতার এই ‘স্কুল রিওপেন বুকলেট’-এ যেসব বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, প্রত্যেক পড়ুয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাকে মাস্ক পরে আসতেই হবে। স্কুলে একটি আইসোলেশন রুম থাকবে। কেউ অসুস্থ হলে যাতে স্থানান্তরিত করা যায়।
আরও পড়ুন-দুর্গাপুরের সেই সভায় সুব্রতদার বিস্ফোরক বক্তৃতা
প্রয়োজনে দুই শিফটে ক্লাস হতে পারে। ক্লাসঘর নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। জ্বর হলে পড়ুয়াকে যেন অভিভাবকরা স্কুলে না পাঠান, বন্ধুদের গায়ে গায়ে না থাকা, একই পাত্রের টিফিন ভাগ করে না খাওয়ার মতো বিষয়গুলি সম্পর্কে অভিভাবকরা যাতে সতর্ক করে দেন, সেটিও বুকলেটে উল্লেখ করা হয়েছে। আছে ‘ডু অ্যান্ড ডু নটে’র তালিকাও।