ভারতের মহাকাশ গবেষণা চন্দ্রযান-৩ (Chandrayan 3) এর হাত ধরে নতুন দিগন্ত সামনে এনেছে। ভারতের চন্দ্রযান ৩ ২০২৩ সালে ১৪০ কোটি দেশবাসীর আশা পূরণ করে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল। চাঁদে যে পয়েন্টে গিয়ে ভারতের চন্দ্রযান ৩ ল্যান্ড করেছিল, সেই জায়গার নাম ‘শিবশক্তি’ রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই নাম ‘শিবশক্তি’ আন্তর্জাতিক মান্যতা পেল। শিবশক্তি নামটিতে মান্যতার শিলমোহর দিয়ে দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন-‘এবার ৩০-৩৫টি আসন পাবে তৃণমূল কংগ্রেস’ হিসেবে দেখালেন কুণাল ঘোষ
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের তরফে ‘গেজেটার অফ প্ল্যানেটারি নোমেনক্লিচার’ এ শিবশক্তি নামকরণকে মান্যতা দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের ‘প্ল্যানেটারি নোমেনক্লিচার’ সম্পর্কিত কার্যবাহী গোষ্ঠী চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডিং পয়েন্টের নাম শিবশক্তি-কে অনুমোদন দিয়েছে। চাঁদের মাটিতে ওই জায়গাতে প্রথম নামে চন্দ্রযান ৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার।
আরও পড়ুন-‘গাইডলাইন জারি করুন’, কমিশনকে চিঠি মহুয়া মৈত্রের
২০২৩ সালের ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)র চন্দ্রযান-৩ সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ হয়। এই ঐতিহাসিক কৃতিত্ব ভারতকে চাঁদে দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণকারী প্রথম দেশ এবং নিয়ন্ত্রিত চন্দ্র অবতরণ অর্জনের জন্য চতুর্থ দেশের স্থান দিয়েছে। ১০ দিন পরে, ল্যান্ডার এবং রোভার দুজনেই ঘুমের মোডে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে প্রপালশন মডিউলটি ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর চন্দ্রের কক্ষপথে ছিল। ২৬শে আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে চন্দ্রযান ৩-এর মুন ল্যান্ডারের অবতরণ স্থানটির নাম শিবশক্তি হবে।