প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যজুড়ে জোরকদমে চলছে টিকাকরণের কাজ। সে কাজে গতি আনতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার৷ এই নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে৷ মূলত যাঁরা এখনও করোনা টিকার প্রথম ডোজ পাননি অথবা শয্যাশায়ী থাকার কারণে টিকা পাননি, তাঁদেরকে চিহ্নিত করতেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য প্রশাসন। কারণ করোনা সংক্রমণ রুখতে একশো শতাংশ টিকাকরণই একমাত্র পথ, বিশেষজ্ঞরা বারবার সেকথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের শীর্ষ কর্তা এবং সচিব সৌমিত্র মোহন বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের কর্মসূচি শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছেন৷
আরও পড়ুন : রাজ্যের প্রস্তাব মেনে কলকাতা, হাওড়া পুরনির্বাচন ১৯ ডিসেম্বর
এদিকে শুরু হয়ে গিয়েছে ছটপুজো। ছটপুজোকে কেন্দ্র করে এর মধ্যেই প্রশাসনের প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে প্রতিবারের মতো এবারও রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত রবীন্দ্র সরোবরে প্রবেশ নিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরোবরের প্রতিটি গেটে এই নির্দেশ দেওয়া ব্যানারও টাঙিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বিকল্প কোন কোন ঘাটে পুজো করা যাবে, তার তালিকাও সেখানে দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। জলাভূমির দূষণ রুখতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে কেউ যাতে ভিতরে ঢুকতে না পারে তার জন্য সরোবরের গেটগুলির সামনে অস্থায়ী বাঁশের ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। রাখা হচ্ছে পুলিশি প্রহরা। পুণ্যার্থীদের পুজোর জন্য শহর কলকাতা ও হাওড়া মিলিয়ে দেড়শোরও বেশি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হয়েছে।