প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগরে বিজেপি প্রার্থী করেছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের (Krishnachandra Roy) পরিবারের এক সদস্যাকে। ভোটবাজারে নেমেই তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন, পলাশির যুদ্ধে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌল্লার বিরোধিতা করেছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। জগৎ শেঠ-সহ ব্রিটিশদের সঙ্গ দিয়েছিলেন। অর্থাৎ বাংলার স্বাধীনতার যুদ্ধে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবার বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। ঝুলি থেকে বেরিয়ে এল বিড়াল। আসলে এটাই বিজেপির চরিত্র। সাভারকার থেকে নাথুরাম গডসে যাদের আরাধ্যপুরুষ হন তাদের প্রার্থীর পরিবার যে দেশ বিরোধিতার কাজ করবেন, এর মধ্যে আর নতুনত্বের কী আছে!
আরও পড়ুন- কু-কথার জের, কমিশনে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ প্রতিনিধি
কৃষ্ণনগরের প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র (Krishnachandra Roy) নাকি দেশ বিরোধিতা করেছিলেন। জগৎ শেঠও ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। গদ্দার বলা হচ্ছে। ব্রিটিশদের সঙ্গে কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবার হাত মিলিয়েছিলেন কেন, তার যুক্তি দিতে গিয়ে ধর্মীয় ভাবনায় উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেন। বোঝানোর চেষ্টা করেন, সেদিন যদি কৃষ্ণচ্ন্দ্র ব্রিটিশদের সঙ্গ না দিতেন, তাহলে নবাবদের সংস্কৃতিকে স্বীকার করে নিতে হত। মেনে নিতে হত। দেশের সঙ্গে গদ্দারির প্রসঙ্গ ঢাকতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী যে যুক্তি দিয়েছেন, আসলে তা হল ধর্মান্ধতার রাজনীতি এবং ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি। যে নীতিতে বিশ্বাস করত ব্রিটিশ এবং এখনকার ভারতীয় জনতা পার্টি।
বিজেপি প্রার্থীর স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে দিল আসলে বিজেপির দেশভক্তি লোক দেখানো এবং তার পিছনে রয়েছে বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী সেই ইতিহাসটাকেই এদিন খু্ল্লামখুল্লা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছেন।