সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের বেশ কয়েকটি এলাকা। ব্লকের বার্নিশ, সাপটিবাড়ি সহ আশপাশের প্রায় দশ কিমি এলাকা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০ জন। রবিবার বিকেলে এই বিপর্যয়ের পরই প্রচার থামিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন জলপাইগুড়ির প্রার্থী ড. নির্মলচন্দ্র রায়, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার কথা দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-নিশীথের গুন্ডামি অব্যাহত, ফের মন্ত্রী উদয়নের গাড়িতে হামলা
আহতদের চিকিৎসা যেন ভালভাবে সেবিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। এদিনের ঝড়ের গতিবেগ এতটাই ছিল যে ওই এলাকার প্রায় ৫০০ বাড়ি-ঘর উড়িয়ে নিয়ে যায়। পাকা বাড়িগুলির টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। কাঁচা বাড়িগুলি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারেও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমি। এরই সঙ্গে ঝড়ে উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ির চাল। প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে। গাছের ডাল পড়ে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। গাছের ডালের আঘাতে এবং ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। তাছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে বেশ কয়েকটি গাড়িও উল্টে যায়। এর পাশাপাশি বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়ে এলাকাগুলি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঝড় থামতেই এলাকার লোকজন আহতদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন। খবর যায় ব্লক প্রশাসনের কাছে।
আরও পড়ুন-ম্যাচ জিতলেন পন্থ, মাঠ মাতালেন ধোনি
ময়নাগুড়ির বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু তাঁর দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তাঁর সঙ্গেই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবলচন্দ্র ঘোষ। ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়, পরে সেখান থেকে গুরুতর আহতদের জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। জলপাইগুড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে দু’জনের মৃত্যু হয়, পরে হাসপাতালে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি রিলিফ সেন্টার খোলা হয়েছে। একটি পুটিমারি হাই স্কুল এবং অন্যটি বার্নিশ হাই স্কুলে। ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে।