প্রতিবেদন : সাম্প্রতিক অতীতে সবচেয়ে বড় মাওবাদী বিরোধী অভিযান৷ রক্তাক্ত হল সবুজ জঙ্গলের মাটি৷ লোকসভা ভোটের মুখে ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলায় গভীর জঙ্গলে মাওবাদীদের ডেরায় হানা দিয়ে পুলিশ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী মঙ্গলবার দুপুরে গুলি করে মারল অন্তত ২৯ মাওবাদীকে। যার মধ্যে রয়েছে মাওবাদীদের অন্যতম শীর্ষনেতা শঙ্কর রাও এবং ললিতা। দু’জনেরই মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা করে ঘোষণা করেছিল পুলিশ। বিনোদ নামে আর এক কুখ্যাত মাওবাদীও নিহত হয়েছে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে।
আরও পড়ুন-৮ জেলায় তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত, জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক মুখ্যসচিবের
মাওবাদীদের গুলিতে গুরুতর জখম নিরাপত্তা বাহিনীর ৩ জওয়ান। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি একে ৪৭, তিনটি লাইট মেশিনগান–সহ অজস্র আগ্নেয়াস্ত্র৷ এই নিয়ে কিছুদিনের ব্যবধানে মাওবাদীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর পরপর কয়েকটি সংঘর্ষে মৃত্যু হল বেশ কিছু কুখ্যাত মাওবাদীর। লোকসভা নির্বাচন বানচাল করতে গিয়ে যৌথবাহিনীর অভিযানের মুখে পড়ে তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঙ্কেরের ছোটবেঠিয়া থানা এলাকায় সীমানার অন্তর্গত বিনাগুন্ডা এবং করোনার গ্রামের মধ্যে হাপাতোলার জঙ্গলে আজ দুপুর দুটার দিকে শুরু হয় রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াই৷ সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং রাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) একটি যৌথ দল মাওবাদী বিরোধী অভিযানে নামে। প্রথমে গুলি বিনিময়ে নিহত হয় ৮ মাওবাদী। পরে সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়তে থাকে। ঘন জঙ্গলে একের পর এক পড়ে থাকতে দেখা যায় মাওবাদীদের রক্তাক্ত দেহ। জানা গিয়েছে, সোমবার কাঙ্কেরের ছোটবেঠিয়ায় এক গ্রামবাসীকে হত্যা করে মাওবাদীরা। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক৷ এরপরেই শুরু হয় সাঁড়াশি অভিযান। মঙ্গলবার দুপুরে শুরু হয় গুলির লড়াই।
আরও পড়ুন-আই অ্যাম নট আ টেরারিস্ট, জেল থেকে কড়া বার্তা কেজরির
এর আগে, ধমতারিতে ওড়িশা সীমান্তের কাছে পুলিশ এবং মাওবাদীদের মধ্যে এনকাউন্টার হয়। এই এনকাউন্টারে একজন পুলিশকর্মীর আঙুলে গুলি লাগে৷ তবে ঘটনাস্থলে পাওয়া রক্তের দাগ থেকে অনুমান করা হয়, অন্তত দুই থেকে তিনজন মাওবাদী আহত হয়েছে। তল্লাশি করার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যারেল গ্রানাইট লঞ্চার এবং বিপুল পরিমাণ মাওবাদী সামগ্রী পেয়েছে। পুলিশ সব সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে। এছাড়াও ব্যাকআপ ফোর্সের সাহায্যে এনকাউন্টার টিমকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়।