প্রতিবেদন : আজ, শুক্রবার লোকসভার প্রথম দফার ভোট। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি এই তিন জেলার ভোট দিয়ে বঙ্গে শুরু হচ্ছে লোকসভার লড়াই। গোটা দেশের ১০২ আসনের সঙ্গে নজরে থাকবে বাংলার উত্তরের এই তিন জেলার ভোটও। তবে এবার উত্তরে তিন-এ তিন হবে, আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরের এই তিন জেলায় ঢালাও উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এবং সারা বছর সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকা, বিশেষ করে উত্তরের এই অংশের চা-বলয়ে ভাল ফল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সারা বছর ধরে চা-বাগান শ্রমিকদের পাশে থাকা, তাদের মজুরি বৃদ্ধি, বাড়ি তৈরি, বাচ্চাদের জন্য ক্রেশ তৈরি করে দেওয়া-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তার সঙ্গে রয়েছে বর্ধিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যা মহিলাদের কাছে এক অন্য আবেগ ও উন্মাদনা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন-সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সফল অশোকনগরের মধ্যবিত্ত মেয়ে
এর সুফল নিশ্চিত ভাবে পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস কথা দিলে কথা রাখে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতবেন জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের তিন প্রার্থী জলপাইগুড়ির নির্মলচন্দ্র রায়, আলিপুরদুয়ারের প্রকাশচিক বড়াইক ও কোচবিহারের জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। প্রচার পর্বে এই তিন জেলাতেই মানুষের যে ঢল নেমেছিল, বিশেষ করে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা ও রোড-শোগুলিতে যে জনসুনামি দেখা গিয়েছে তাতে ইঙ্গিত স্পষ্ট, মানুষ এবার তৃণমূলের সঙ্গেই থাকবেন। জয় হবে মা-মাটি-মানুষের।
আরও পড়ুন-বাজেয়াপ্ত রাজ-শিল্পার ৯৮ কোটির সম্পত্তি
বিশেষ করে মহিলারা সকাল-সকাল বুথমুখী হবেন তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দিতে। বিজেপির মিথ্যে প্রতিশ্রুতির বেলুন এবার ফুটো হয়ে গিয়েছে। উত্তরের মানুষ বুঝে গিয়েছেন, যাদের ভরসা করে ভোট দিয়ে জিতিয়ে সংসদ করেছিলেন, তারাই দিল্লিতে গিয়ে বাংলার মানুষের জন্য টাকা আটকানোর তদবির করেছে। মানুষকে পেটে মারার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু পাশে থেকেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা কেন্দ্র না দেওয়ায় সে টাকা দিয়েছে মা-মাটি-মানুষের সরকার। আবাসের বাড়ির টাকাও বকেয়া তিন বছর ধরে। অথচ জলপাইগুড়ির বার্নিশে ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকায় মাঝরাতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই রাতেই দুর্গতদের পাশে থেকে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন, যা যা করার সবটা করেছেন প্রশাসনিক স্তরে। এমনকী ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষগুলিকে সাহায্যের জন্য বাড়ি তৈরির জন্য ব্যাঙ্কে টাকা পাঠিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন-কেজরির ডায়েট-চার্ট তলব করল আদালত
বঙ্গে প্রথম দফায় বিশেষ নজরে রয়েছে কোচবিহার। বিজেপির ক্রমাগত উসকানি-গুন্ডামির কারণে উত্তপ্ত এই জেলা। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও এই জেলার বিজেপি প্রার্থীর ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাতেই অশান্ত হচ্ছে কোচবিহার। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে দেখে, জনসভায় ভিড় কম দেখে, বিজেপি পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করছে। তিন জেলার ভোটের জন্য মোট ১৮৫ কোম্পানি বাহিনী নামিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল ৫টায়। তিন জেলার মোট ৭৪৬টি বুথের ৫৮১৮টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মানুষ লাইন দিয়ে ভোট দেবেন। উত্তরের আবহাওয়া ভাল থাকায় মনে করা হচ্ছে উৎসবের মেজাজেই ভোট হবে। তৃণমূল কংগ্রেস আত্মবিশ্বাসী এবার তিনে ৩ হবে। উত্তরের এই তিন জেলায় ঢালাও উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এবং সারা বছর সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকার সুফল পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। মহিলারা বুথমুখী হবেন তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দিতে। বিজেপির মিথ্যে প্রতিশ্রুতির বেলুন এবার ফুটো হয়ে গিয়েছে। উত্তরের মানুষ বুঝে গিয়েছে, যাদের ভরসা করে ভোট দিয়ে সাংসদ করে দিল্লি পাঠিয়েছিলেন, তারাই প্রতারণা করেছে বাংলার মানুষের সঙ্গে। বকেয়া ন্যায্য আটকে দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের বাড়ির টাকা সব আটকে দিয়েছে। পাশে থেকেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকার। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির বার্নিশে মাঝরাতে ছুটে গিয়েছেন তিনি। প্রশাসনিক স্তরে ওই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অনুমতি না দিলেও প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন-পাক সেনাপ্রধানকে হুঁশিয়ারি ইমরানের
শুধু মিথ্যে কথার প্রতিশ্রুতি নয়। কথা দিয়ে কাজে করে দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন আদিবাসী জনজাতি গোষ্ঠী, সংখ্যালঘু বাঙালি, সব সম্প্রদায়ের মানুষ, সমাজের সর্বস্তরের বিশিষ্টরাও এবার বুঝেছেন সারা বছর কারা তাঁদের পাশে থাকেন, আর কারা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন আর ভোট পাখি হয়ে আসেন ভাষণ দিতে। এবার উত্তরের কাজের মানুষ, কাছের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদেরই জেতাতে বুথমুখী হবেন মানুষ।