সংবাদদাতা, হুগলি : উত্তরপাড়া থেকে বিরাট মিছিল করে শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিলেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বালি খাল থেকে শুরু হয় কল্যাণের মেগা র্যালি। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী, চাঁপদানির বিধায়ক তথা তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুইন, গিরিধারী সাহা। প্রথমে কোন্নগরের শকুন্তলা কালীমন্দিরে পুজো দেন তিনি। তারপর মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় র্যালি করে আসেন চাঁপদানি পর্যন্ত। তারপর হুগলি মোড়ের ভূমি রাজস্ব দফতরে অতিরিক্ত জেলাশাসক কুহুক ভূষণের কাছে মনোনয়ন জমা দেন।
আরও পড়ুন-গরমে বদলে গেল আউটডোরের সময়
মনোনয়ন জমা দিয়ে তিনি বলেন, আগেই বলেছি দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব। মানুষ চাইছেন সেই ব্যবধান যেন দুই লক্ষের বেশি হয়। তাই এবারের চাপ মার্জিন বাড়ানোর। আমি ১৫ বছরের সাংসদ। ১৫ বছর ধরে মানুষের পাশে রয়েছি। এই এলাকার জন্য অনেক কাজ করেছি। আমাদের সংগঠন আছে। আমাদের বিধায়ক থেকে শুরু করে সকলেই কাজ করেন। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছে। ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে জনপ্রিয়তা ছিল, ২০২৪ সালেও তা সমানভাবে রয়েছে। সব বিধানসভা থেকেই ব্যবধান বাড়বে। শ্রীরামপুরে মিশ্র সংস্কৃতির মানুষের বাস। বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে। তাই এখানকার মানুষ সেটা গ্রহণ করে না। অন্যদিকে মন্ত্রী পুলক রায়, বিধায়ক রাজা সেন, সমীর পাঁজা, সুকান্ত পাল, বিদেশ বসু, ডাঃ নির্মল মাঝিকে সঙ্গে নিয়ে হাওড়া জেলাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন উলুবেড়িয়ার তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ। এদিন মনোনয়ন জমা দেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। জয় নিয়ে ২০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী তিনি।