প্রতিবেদন : এসএসসি মামলায় (SSC Case) সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই কোনওভাবেই এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এসএসসি এবং রাজ্যের তরফের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, হাইকোর্ট এই চাকরিহারাদের নিয়োগ করেনি। তাহলে কীভাবে উচ্চ আদালত তাঁদের চাকরি নিতে পারে? এঁদের প্রত্যেকের পরিবার আছে। একইসঙ্গে আইনজীবীরা আরও প্রশ্ন তোলেন, যদি ধরে নেওয়া যায় যে আট হাজার দুর্নীতি হয়েছে তাহলে কীভাবে ২৫ হাজারের চাকরি যায়?
আরও পড়ুন- ভোট কাটতে নেমেছে বিজেপির দোসর সিপিএম-কংগ্রেস : নেত্রী
এদিকে, এই চাকরিহারাদের পাশে তৃণমূল সর্বাত্মকভাবে রয়েছে বলে এদিন জানান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, সিপিআই (এম) নেতারা পিটিশন করে অহেতুক আইনি বাধা তৈরি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করছেন। তাঁদের এই কাজে সাহায্য করছে বিজেপি। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দিচ্ছেন। অন্যদিকে, তারা সিপিআই(এম) ও বিজেপি চাকরি কেড়ে নিচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে সেই যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পাশে আছি যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন। এসএসসির কাছে বিচারপতি জানতে চান তারা যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা আলাদা করতে পারবেন কিনা। উত্তরে এসএসসি জানায় তারা এই তালিকা পৃথকভাবে জমা দিতে পারবে আদালতের কাছে। এরপরেই এদিন সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি হবে এই মামলার (SSC Case)। তার আগে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নয়। কোনও গ্রেফতারি করা যাবে না।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্ত আপাতত স্থগিত। পরবর্তী শুনানি সোমবার। এখানে দ্বিচারিতা করছেন বিরোধী দল, বাম আইনজীবীরা। মুখে বলছেন যোগ্যদের চাকরি হোক। আদালতে গিয়ে গোটা প্যানেল বাতিল চাইছেন। তৃণমূল কংগ্রেস ভুল সংশোধন করে যোগ্যদের চাকরির পক্ষে। বিরোধীরা সব আটকে রাজনীতি করতে চায়।