ভোট কাটতে নেমেছে বিজেপির দোসর সিপিএম-কংগ্রেস : নেত্রী

Must read

প্রতিবেদন : ভোট কাটতে নেমেছে বিজেপির দুই চোখ সিপিএম আর কংগ্রেস। তাই সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের বলছি, দয়া করে ভোট কাটাকাটি করবেন না। সোমবার মুর্শিদাবাদের জোড়া নির্বাচনী সভা থেকে এই বার্তা দিলেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, এটা দিল্লিতে মোদির গদি উল্টোনোর নির্বাচন। মোদির গদি যদি উল্টোতে হয়, তাহলে সব ভোট এককাট্টা রাখতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে ভালবেসে যে সবাই ভোট দিচ্ছে, তা নয়। বিজেপির বিরুদ্ধে যে যেখানে কনটেস্ট করছে, সেখানে পান, তা আমরাও চাই। কিন্তু আমরা যেখানে আছি সেটুকু বাদ দিয়ে। বাংলায় বিজেপির দুই চোখ সিপিএম আর কংগ্রেস এখানে জোট তৈরি করেছে। সিপিএম কী অত্যাচার করেছে এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন মা-বোনেরা! মনে রাখবেন, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসরা সিপিএমের সেলিমকে পাঠিয়েছে ভোট লড়তে। আর উত্তর দিনাজপুরে পাঠিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের রমজানকে। মালদহে পাঠিয়েছে আর এক জনকে। যে সিটগুলো তৃণমূলের পাকা সিট, সেগুলোতে জল ঢেলে দিয়ে তারা বিজেপিকে জেতাতে চায় তৃণমূলের ভোটটা কেটে।

আরও পড়ুন- বাংলার জন্য স্পিড ব্রেকারের কাজ করছে বিজেপি সরকার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথায়, ভুল করলে কিন্তু হবে না। যদি ভোট কাটাকাটির জন্য বিজেপি জিতে যায়, তাহলে ক্ষতি কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনাদেরই, এটা মনে রাখবেন। যারা বিজেপিকে হারাতে চান, সংবিধানকে বাঁচাতে চান, দেশকে বাঁচাতে চান, একশো দিনের কাজ চান, বাংলার বাড়ি চান, রাস্তাঘাট চান, বিনা পয়সায় রেশন চান, তাঁরা মনে রাখবেন, কোনও ভোট কাটাকাটি নয়। তৃণমূলই একমাত্র পার্টি, যারা আপনাকে আগলে রাখবে নিজের মতো করে।
তিনি বলেন, কংগ্রেস-সিপিএমকে তো বাংলায় দেখা যায় না। যে সিপিএম আমাকে অনেকবার পিটিয়েছে। আমি জিন্দা লাশের মতো বেঁচে আছি, তা নিয়েই লড়াই করছি, করে যাব। জেলা নেতৃত্বকে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আর একটু সক্রিয় হন। পাশের কেন্দ্রে মুর্শিদাবাদে উড়ে এসে একজন বাজপাখি দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের ভোট কাটতে। নজর দিতে হবে। আমাদের ভোট কেটে সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ করে বিজেপিকে জেতাবেন। আমি আমার কথা আপনাদের বলে আবেদন করলাম।
মনে রাখবেন, একশো দিনের কাজের টাকা ওরা দেয়নি আমরা দিয়েছি। আগামীদিনে কর্মশ্রী প্রকল্পে জবকার্ড হোল্ডাররা ৫০ দিনের নিশ্চিত কাজ পাবেন। চাইলে ৬০ দিনও করতে পারবেন। ৪৩ লক্ষ বাড়ি করে দিয়েছি, ১১ লক্ষ বাড়িও আমরা করে দেব। আমাদের রাজ্য অনেক এগিয়ে গিয়েছে, আরও এগিয়ে যাবে।

Latest article