বাংলার জন্য স্পিড ব্রেকারের কাজ করছে বিজেপি সরকার

Must read

প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী ২০১৯-এ বলেছিলেন, ম্যায় তো পয়সা দেনা চাহ্তা হুঁ, লেকিন দিদি কা সরকার স্পিড ব্রেকার কা কাম কর রাহা হ্যায়। এখন স্পিড ব্রেকার কে? কে চায়, মানুষের টাকা বন্ধ থাকুক? কে চায়, মানুষ বঞ্চিত হয়ে থাকুক? কে চায়, মানুষ অত্যাচারিত হয়ে থাকুক? কে চায়, বাংলাকে ভাতে মারতে? কে চায়, মানুষের চাকরি খেতে? কে চায়, মহিলাদের-মায়েদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে? কে চায় মানুষের মাথার ছাদ কেড়ে নিতে? এভাবেই হাওড়ার আমতার সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা করে জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। স্পিড ব্রেকার আসলে কী তা চিহ্নিত করেন। বিজেপি সরকারি যে আক্ষরিক অর্থে বাংলার জন্য স্পিড ব্রেকার-এর কাজ করছে উপস্থিত জনতাও সমস্বরে উত্তর দিয়ে তা বুঝিয়ে দেন। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে এদিন আমতায় জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই ৪৩-৪৪ ডিগ্রির ভয়ংকর গরম মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত অভিষেক। বলেন, যারা এভাবে এই গরমে জনসভায় আসেন ভিড় করেন তাঁরা শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে আসেন না তাঁরা এটা নিশ্চিত হয়ে আসেন তাঁদের ভোটটা যাবে তৃণমূল কংগ্রেসে। তার জন্য আপনাদের কুরনিশ জানাই। এদিনের সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, অনেক হয়েছে বহিরাগতদের আর নয়। অনেক হয়েছে ভিক্ষা। এবার দিতে হবে শিক্ষা। যে ভাষায় এরা বোঝে সেই ভাষায় জবাব দিতে হবে। ৭ দফায় ভোট করে বাংলায় গরিব মানুষকে কষ্ট দিয়ে গরমে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখছে। করোনার সময়ও আট দফায় ভোট করেছিল। বাংলার মানুষ তার জবাব দিয়েছিল। এবারও দেবে।

আরও পড়ুন- লিখে রাখুন, এবার বিজেপি হারছে

এবার জিতলে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হবে বিজেপি। এদের দোসর হল বাংলার কংগ্রেস। দেশে নতুন সরকার তৈরি হলে বাংলার মতো দেশ জুড়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হবে।
বিজেপির দ্বিচারিতার কথা বলতে গিয়ে এদিন ২৬ হাজার চাকরিহারাদের প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, মেধাযুক্ত চাকরিহারারা ভয় পাবেন না। আমাদের সরকার-আমাদের দল আপনাদের সঙ্গে সর্বতোভাবে পাশে আছে-থাকবে। আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে।
এই হাওড়া গ্রামীণ জেলার আমতা-উদয়নারায়ণপুরের একাধিক অঞ্চলের সমস্যা হচ্ছে বন্যা। আমরা কতবার আবেদন-নিবেদন করেছি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের। ৬০ শতাংশ টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগের সভা থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোষণা করেছেন আমরা দুমাস দেখব যদি টাকা না দেয় যেভাবে আমরা ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করেছি, ১৫০০ কোটি টাকা খরচা করে আমার সরকার এখানে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করবে। এই বছরের শেষে আমরা ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শুরু করে দেব। স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। অভিষেকের তোপ, প্রধানমন্ত্রী এখানে সভা করতে এসে বলেছিলেন, বাংলায় দিদি আছে আর আমি প্রধানমন্ত্রী হয়ে দিল্লিতে থাকব। বাংলার মানুষের দু-হাতে লাড্ডু থাকবে। গত ১০ বছরে সত্যি লাড্ডু দিয়েছে! শূন্য দিয়েছে।

Latest article