আজ বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মেমারীর গন্তার ফুটবল মাঠে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে উঠেই নস্টালজিক হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “মেমারিতে আসলেই আমার করেন্দার কথা মনে পড়ে। আমি তখন ছাত্র রাজনীতি করতাম, একবার করেন্দা গ্রামে এসেছিলাম। আপনাদের মনে পড়ে, সিপিএম চারজনকে হত্যা করেছিল, একটা বাচ্চাকে হত্যা করে মুড়ির টিনের মধ্যে ভরে দিয়েছিল। এই সিপিএম দল যে কী সাংঘাতিক ছিল কল্পনা করতে পারবেন না।”
আরও পড়ুন-গুজরাটে পার্সেলে বিস্ফোরণে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু
উল্লেখ্য, বামেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল বর্ধমান। বর্ধমানের মেমারীতে নির্বাচনী প্রচারে এসে তৎকালীন সিপিএমের অত্যাচারের প্রসঙ্গ তুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বিরোধীদের নিশানা করো বলেন, ”এখন সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে এক হয়েছে। আর বিজেপি তো বাজপাখি। বাজপাখির দু’টো চোখ একটা সিপিএম অন্যটা কংগ্রেস। বাংলায় কোনও জোট নেই, দেশকে বাঁচাতে আমি ইন্ডি জোট গড়েছি। তবে বাংলায় কোনও জোট নেই। এখানে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস সব এক।” প্রধানমন্ত্রীর নাম না করার অঙ্গীকার নিয়ে তিনি বলেন, ”এখন থেকে আমি আর মোদীবাবুর নাম নেব না! উনি বলছি মানে বুঝবেন উনি! বড্ড মিথ্যে কথা বলেন!”
আরও পড়ুন-”আপনার বিজেপির ক্যান্ডিডেট নিজেই এখনো সিএএ’র জন্য নাম নথিভুক্ত করলেন না কেন?” প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “সুব্রতদা আজকে নেই, তবে ভীষণ মজার মজার কথা বলতেন। আমাকে খুব ভালও বাসতেন। সুব্রতদা কিন্তু বর্ধমানের ছেলে, অজিত পাঁজা যেমন। সুব্রতদা একবার দাঁতের যন্ত্রণা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলেছিলেন, ‘ছোটবেলায় শুনেছিলাম, মিথ্যে কথা বললে দাঁত ভেঙে যায়। তা না হয় আমি একটি আধটু মিথ্যে বলি বলে আমার কয়েকটা দাঁত পড়ে গেছে, কিন্তু যাঁরা বেশি মিথ্যে কথা বলে, তাঁদের তো পুরো মাড়িটাই খসে পড়ে যাওয়া উচিত!’ এটা এদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বলে বললাম।”
আরও পড়ুন-নারকেলডাঙা এলাকায় যুবকের রহস্যজনক মৃ.ত্যু
মোদী-শাহকে তীব্র কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওই গল্পে যেভাবে বাঘের লেজ ১২ হাত বলা হয়েছিল, মধু-বিধুরাও বাংলায় এসে একইরকমভাবে মিথ্যের পর মিথ্যে বলে যাচ্ছে। হাজার টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল। ক্ষমতায় এলে আবার গ্যাসের দাম বাড়বে। এতে ওনার কিছু আসে যায় না। কারণ উনি গরিবের মুখ চেনেন না।”
আরও পড়ুন-মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর পড়ুয়াদের শুভেচ্ছাবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বর্ধমান থেকেও কমিশনকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এত দাবদাহ যে চশমাতেও গরম লাগছে। একমাস ধরে প্রচার করছি। গত বিধানসভা ভোটে ২ মে রেজাল্ট বেরিয়ে গিয়েছিল। এবারে দেখুন, মোদীকে খুশি করতে কমিশন মানুষকে জ্বালিয়ে মারছে। একেকটা দফায় কি না, তিনটে করে ইলেকশন!”