লোকসভা ভোটের (Loksabha election) আগে আজ, বীরভূমের লাভপুরের সভা থেকে কুসুম্বার কাছেই চাকাইপুর গ্রামের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানান এই অঞ্চলে তাঁদের পৈতৃক দেবোত্তর সম্পত্তি মন্দির নির্মাণের জন্য দিয়ে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বললেন, ‘’কুসুম্বা গ্রামে আমি জন্মেছি। কিন্তু চাকাইপুরে যাওয়া হয়নি। ওটা আমার পিতৃদেবের গ্রাম। আমার পিতৃভূমি। কিন্তু আমার যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আমাদের অনেক দেবোত্তর সম্পত্তিও ছিল। সেগুলি আমার বাবা নেননি। আমার জ্যাঠামশাইয়ের ছেলে-মেয়েরা সেখানে আছেন, তাঁরাই দেখাশোনা করেন।”
আরও পড়ুন-কাশ্মীরে বায়ুসেনার কনভয়ে গুলি জঙ্গিদের, শহিদ ১ জওয়ান, আহত ৪
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি যখন কুসুম্বায় মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন, তখন কয়েকজন তাঁর কাছে এসে রামপুরহাটের এক দেবোত্তর সম্পত্তির কথা বলেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, সেখানে তাঁরা একটি মন্দির বানাতে চান। সেই কথা জানিয়ে তিনি বললেন, ‘’আমি তো দেখলাম না কাগজটায় কী লেখা আছে। আশিসদা আমাকে বললেন, আমিও সই করে দিলাম। আমার সইয়ের মূল্য কতটা আছে, সেটাও আমি জানি না। যেহেতু দেবোত্তর সম্পত্তিটা আমাদের পরিবারের। ছোটবেলায় পরীক্ষা শেষ হলেই কুসুম্বা গ্রামে চলে যেতাম। এক মাস ধরে গ্রামে ঘুরে বেড়াতাম। কখনও মাছ ধরতাম, কখনও আখের বনে গিয়ে আখ কাটতাম। কত কীই না করেছি। অনেকে ভাবেন, আমি কী করে ধান পুঁততে পারি, কী করে রান্না করতে পারি। এগুলো শিখতে হয় না। স্বতস্ফূর্ত প্রবৃত্তি। সব এই গ্রাম থেকেই শেখা।”
আরও পড়ুন-রবীন্দ্রনাথের প্রথম বই
নস্টালজিক হয়েই একরকম এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ছোটবেলায় আমি নিজে নিজেই কঙ্কালীতলায় চলে যেতাম। একটা ছোট্ট পুকুর রয়েছে। পাশে একটা ছবি, সেখানেই মায়ের পুজো হত। এখন আমরা মন্দির করেছি। আজ লাভপুরে মা ফুল্লরার মুখটা দর্শন করতে পারলাম। মা যদি কোনওদিন ডাকে, আমি নিজে ফুল্লরা মন্দিরে যাব। নান্দিকেশ্বরীতে যাব। কারণ ওখানে আমার যাওয়ার ইচ্ছে আছে।”