প্রতিবেদন : বিজেপির অন্দরমহলে কাদা ছোড়াছুড়ি চলতে চলতে এবার বেরিয়ে এল মহাকেলেঙ্কারি। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত ‘ট্যুইট’ রায় যে বিস্ফোরক দাবি করলেন, তাতে বিজেপির ঘরে যে শুধু আগুন লেগেছে তা নয়, গেরুয়া শিবির এমন বেকায়দায় পড়েছে যে, অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে হোঁচট খেতে হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলকে। ঘরে বাইরে অস্বস্তি। আর এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট দাবি, কানাঘুষো শোনা যেত। এবার বিজেপি নেতাই বলছেন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বিধানসভা ভোটের সময়। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এখনই সিবিআই-ইডি তদন্ত হোক।
আরও পড়ুন-Children’s Day: হাত বাড়ালেই মা
এবার কী বলে বিতর্ক বাড়ালেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত ‘ট্যুইট’ রায়? বুধবার থেকেই তিনি বাঁকা মন্তব্য করে চলেছেন। শুক্রবার তথাগত দল ছেড়ে যাওয়া শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বললেন, ভোটের আগে এইসব নগরনটীদের দল ঘটা করে মালা পরিয়ে নিয়ে এসেছিল। এদের হাতে যে শুধু দলীয় পতাকা দেওয়া হয়েছিল তাই নয়, প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছিল। কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কত দেওয়া হয়েছিল সেই অঙ্কটা জানি, কিন্তু বলব না!
আরও পড়ুন-Leander Paes: মাছের বাজার থেকে ফুটবল মাঠ, গোয়া মাতাচ্ছেন লিয়েন্ডার
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আবার একপ্রস্থ এগিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, রাস্তায় যেতে যেতে অনেকে অনেক কথা বলেন।
সব কথার জবাব হয় না। সে শুনে তথাগত পালটা বলেন, আমাকে যা খুশি তাই বলতে পারেন। কিন্তু তাতে কি সত্য চাপা থাকে?
কী সেই সত্য। বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছিল, ফিল্মি তারকারা নাকি বিরাট অর্থের বিনিময়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সাংসদকে চোখ ছানাবড়া করে দেওয়া ‘অফার’ও দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। দলে তারকার ভিড় বাড়াতে মোটা অর্থ দিয়ে তাদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়ার ‘ডিল’ করেছিল বিজেপি। অভিযোগ তথাগতর। মারাত্মক অভিযোগ। তৃণমূল স্বভাবতই পিএমএল আইন অনুযায়ী সিবিআই ও ইডির তদন্ত চেয়েছে। তাদের বক্তব্য, মারাত্মক স্বীকারোক্তি। দলের শীর্ষ নেতা যখন এই টাকা লেনদেনের কথা জোর দিয়ে বলছেন, তখন যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন। তাহলে রাজ্য বিধানসভা ভোটে বিজেপির অর্থ ঘোটালা প্রকাশ্যে চলে আসবে। কোথা থেকে সেসব টাকা এলো তা তাদের জানাতে হবে।
আসলে এখন বিজেপি তথাগত ফাঁসে ব্যাপকভাবে আটকেছে। হাওড়ার জেলা সভাপতিকে বহিষ্কার করার মুরোদ দেখাতে পারে দলের নেতারা, কিন্তু তথাগতকে দল থেকে বহিষ্কার করার হিম্মত নেই বিজেপির। কে বলছেন? বলছেন দলের বহিষ্কৃত জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা।