প্রতিবেদন: মোদির সভায় বিক্ষোভের ভয়ে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের (Punjab) জলন্ধর জেলাকে নো ফ্লাইং জোন ঘোষণা করল পুলিশ-প্রশাসন। এসপিজির নির্দেশেই এই বিশেষ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা-ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, ওইদিন যেসব জায়গায় মোদির নির্বাচনী সভা আছে, সেইসব জায়গায় গিয়ে বিজেপি নেতারা কৃষকদের কাছে কাকুতি-মিনতি করছেন রীতিমতো। করজোড়ে বলছেন, দয়া করে প্রধানমন্ত্রীর সভায় বিক্ষোভ দেখাবেন না। কিছু বলার থাকলে আগাম দাবিসনদ বা স্মারকলিপি পেশ করতে পারে কৃষক সংগঠনগুলো। তা তুলে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। বৃহস্পতিবার পাতিয়ালায় এবং পরের দিন গুরুদাসপুর এবং জলন্ধরে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার কথা মোদির। কিন্তু আপ শাসিত রাজ্যে কৃষক বিক্ষোভের আশঙ্কায় থরহরিকম্প বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, কিছুদিন আগে কৃষকদের দিল্লি চলো মিছিলে হরিয়ানায় পুলিশের গুলিতে এক তরুণ কৃষিজীবীর মৃত্যুর ক্ষত এখনও শুকোয়নি। শুধু কৃষকসমাজ নয়, ক্ষোভে ফুঁসছে আমজনতা। সামনের দুদিনে মোদির ৩টি গেরুয়া সভায় তাই বিক্ষোভের আশঙ্কা প্রবল। এমনকি সভা ভণ্ডুল হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী আবহে গভীর অস্বস্তিতে পড়ে যাবে পাঞ্জাবের বিজেপি নেতৃত্ব। প্রভাব পড়বে ইভিএমেও। তাই আগাম ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে অনুনয়-বিনয়ের পথ ধরেছে গেরুয়া শিবির। আসলে রাজ্যে বিজেপির ১৩ জন প্রার্থীই প্রায়দিনই কোথাও না কোথাও বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। মাঝপথে সভা থামিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সভায় এমন ঘটনা ঘটলে স্পষ্ট হয়ে যাবে রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক দৈন্য। লক্ষণীয়, ২০২২ এর জানুয়ারিতে ফিরোজপুরে ক্ষুব্ধ কৃষকদের অবরোধের মুখে পড়েছিল মোদির কনভয়। একটি ফ্লাইওভারে আধঘন্টা আটকে পড়েছিল তাঁর কনভয়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের কথায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন।
আরও পড়ুন- যাদবপুরের অধ্যাপকদের পদোন্নতি