সংবাদদাতা, মেদিনীপুর : সবাই তাকে চেনে। সে রাস্তায় বেরোলে হাজার হাজার ভক্ত পিছু নেয়। সে নিজের মর্জিমতো কখনও জাতীয় সড়কে, কখনও রাজ্য সড়কে বা গ্রামের পথে চলে। পাঁচ বছরের বেশি কাটিয়েছে ঝাড়গ্রামে। তাকে দেখে মানুষজন খাবার এগিয়ে দেয়। এছাড়া রাস্তার ধারে আম, কাঁঠাল গাছ থেকে ফল পেড়েও খেয়েছে। সে হল ‘রামলাল’। এবার তার অনুরাগী হয়ে পড়লেন জুন মালিয়া! জঙ্গলমহলের আবাসিক হাতি। স্থানীয়রাই আদর করে নাম দিয়েছে রামলাল। আপন মর্জিতে চলাফেরা করে। খিদে পেলে জাতীয় সড়ক বা রাজ্যসড়কে লরি থামিয়ে চাল-ধান-আটার বস্তা নামিয়ে খেয়ে ফেলে। মাঝেমধ্যে ঝাড়গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের উদ্দেশে। মানুষকে কিছু করে না। ওর আরেক বৈশিষ্ট্য, যেখানে ঘুম পায় ঘুমিয়ে পড়ে। ঝাড়গ্রামের একাধিক চাল, আটা মিলের দরজা খোলা থাকে ওর জন্য। মিল কর্তৃপক্ষ নাকি দরজা খোলা রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে ওকে দরজা ভাঙতে না হয়। সেই রামলাল এবার মেদিনীপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার প্রিয় হয়ে উঠেছে। শান্ত প্রকৃতির রামলালের অনেক ভিডিওই নাকি অনুরাগী করে তুলেছে।
আরও পড়ুন-নিশ্চিত জয়প্রকাশ, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম দুটোই হবে তৃণমূলের
বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারের শেষ লগ্নে গান্ধী ঘাটে জুন জানিয়েছেন, রামলাল তাঁর খুব প্রিয়। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সাংসদ হলে মেদিনীপুরে একটি অ্যানিম্যাল রেসকিউ সেন্টার করবেন। যেখানে চিকিৎসা সহ নানা ব্যবস্থা থাকবে। জঙ্গলমহলে নিত্যদিন হাতি ঘরবাড়ি ভাঙে, ফসল নষ্ট, মানুষকেও মারে। কারণ হাতিদের বাসস্থান অর্থাৎ জঙ্গল কমছে বলেও জানান জুন।