সংবাদদাতা, রামপুরহাট : রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Rampurhat Medical College and Hospital) ল্যাপারোস্কপি ইউনিটের চিকিৎসক থেকে পুরো টিম যুগান্তকারী সাফল্যর মুখ দেখল। ভোল্লা গ্রামের বাসিন্দা মূক ও বধির আম্বিয়া বিবি ৫-৬ মাস মলদ্বারের অসুখে ভুগছিলেন। রক্তক্ষরণ ও যন্ত্রণা হত। বাইরে কোথাও যেতে হয়নি। সোমবার তিনি ভর্তি হন এই হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রেকটামে ক্যান্সার ধরা পড়ে। হাসপাতালের অধ্যাপক চিকিৎসক ড. সাদ্দাকাস আলি-সহ দুই শল্য চিকিৎসক মিলে তাঁর মাইক্রোসার্জারি করেন। ড. আলি বলেন, এ ধরনের সার্জারিতে পাঁচ থেকে ছয়জন সার্জেনের প্রয়োজন হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় অ্যাবডোমিনি পেরিনিয়াল রিসেকশন পদ্ধতিতে পেট ও মলদ্বারে একসঙ্গে অপারেশন করা হয়। আগে পেট কেটে মলদ্বার, মলনালি বাদ দেওয়া হত। এক্ষেত্রে ছিদ্র করে পেটের মাইক্রোসার্জারি করা হয়। পাশাপাশি মলাশয়ে অপারেশন হয়। মঙ্গলবার আট ঘন্টা সার্জারি হয়। বুধবার থেকে রোগী খেতে শুরু করেছেন। আধুনিক পদ্ধতিতে সার্জারির ফলে রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠছেন। রোগীর মলদ্বার, মলনালী ও মলাশয় সব বাদ দেওয়া হয়েছে। পেটের ধারে বিকল্প পায়ুদ্বার করা হয়েছে। বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী জনসাধারণের উপকারের জন্য মফস্সল এলাকায় মেডিক্যাল (Rampurhat Medical College and Hospital) কলেজ করেছেন। যার সুবিধা সবাই পাচ্ছেন। এই ঘটনা তার একটি জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ।
আরও পড়ুন-বাংলার প্রযুক্তি কাতার বিশ্বকাপে