সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : মানচিত্রের অবস্থান অনুযায়ী শিলিগুড়ি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহর। শহরের একদিকে রয়েছে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ এ-ছাড়াও রাজ্যের সীমান্ত এলাকা রয়েছে আসাম ও সিকিম আর সিকিমেই রয়েছে চিন সীমান্ত। এখান থেকেই সরাসরি পৌঁছানো যায় চিন সীমান্তে। তাই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এই বিষয়ে একেবারেই উদাসীন কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত বাম পুরবোর্ডের তো বিষয়টি চিন্তাতেই আসেনি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বোর্ড গঠন করেই মাসের প্রথম বৈঠকেই এই বিষয়টি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন মেয়র গৌতম দেব।
শিলিগুড়িকে (Siliguri) জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসাবে বিবেচনা করে কেন্দ্রের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে বলেও তিনি এই বৈঠকে বলেন। উপস্থিত চেয়ারম্যান-সহ কাউন্সিলররা তাঁর এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। এই মর্মে তৈরি হয়ে গিয়েছে চিঠিও। এই চিঠি মেয়ের পুর নিগমের চেয়ারপার্সন প্রতুল চক্রবর্তীর হাতে তুলে দিয়েছেন। এই চিঠি পাঠানো হবে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। এখান থেকেই চিঠিটি যাবে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরে। এদিনের বৈঠকে শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরের সার্বিক উন্নয়ন নিয়েও আলোচন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া রোড ম্যাপের মতো করেই উন্নয়ন হবে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম মাসিক বৈঠকে সেইসমস্ত উন্নয়েনের খতিয়ানও তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন – শিল্প বন্ধের তথ্যই নেই !
মেয়র বলেন, ‘‘১৯৬২ সালে চিনের যুদ্ধে এবং ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের যুদ্ধে ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধে শিলিগুড়ির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। শিলিগুড়ি শহর জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিক দিয়ে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম। শিলিগুড়ি শহর গেটওয়ে অফ নর্থ বেঙ্গল হওয়ায় রাজ্য সরকার শিলিগুড়ি শহরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত বিশেষভাবে শিলিগুড়ি শহরের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা। প্রথম মাসিক বোর্ড সভায় বিশেষভাবে এই সংকল্প নিয়েছি।’’