নয়াদিল্লি : রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে আরও একবার সংসদে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন। একের পর এক তথ্য এবং পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন কীভাবে কেন্দ্রের বঞ্চনার ফলে রাজ্যের একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প থমকে রয়েছে।
আরও পড়ুন-করফাঁকি নিয়ে আদানি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত হিমাচল প্রদেশে
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিষয়টা হয়তো আপনার নজরেও আছে, কারণ সেই সময় আপনি রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন। ২০২১ থেকে লাগাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগ নিয়ে রাজ্যের বকেয়া সংক্রান্ত সমস্ত নথি কেন্দ্রের কাছে পাঠান এবং এই সংক্রান্ত ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন। এই মুহূর্তে রাজ্যের বকেয়া ১ লাখ ৯৬৮ কোটি টাকা। কোন কোন খাতে রাজ্যের এই বকেয়া রয়েছে তা পরিসংখ্যান-সহ তুলে ধরেন সাংসদ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজ্যের বকেয়া মনরেগা প্রকল্পে ৬,৫৬১ কোটি টাকা, আমফান বিপর্যয়ে ৪,২০০ কোটি টাকা, কোভিড-সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ৬,০০০ কোটি টাকার বেশি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৯,০০০ কোটি টাকার বেশি, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ২,০০০ কোটি টাকার বেশি, মিড ডে মিলে ১৭৪ কোটি টাকা, স্বচ্ছ ভারত মিশনে ৩৪৪ কোটি টাকা, ফুড সাবসিটিতে ১,২০০ কোটি টাকা, প্রধানমন্ত্রী জন বিকাশ কার্যক্রম যোজনায়, ৪৪ কোটি টাকা, কেলেঘাই-কপালেশ্বরী বন্যাবিধ্বস্ত সংস্কারে ১৭৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-হাওড়ায় শিল্পের জোয়ার, বাড়বে আরও কর্মসংস্থান
শান্তনু অভিযোগ করেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার দোরগোড়ায় কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য পরিমাণ টাকা অনুমোদন করা হয়, যার ফলে বেশিরভাগ উন্নয়নমূলক প্রকল্পই থমকে যেতে বাধ্য হয়। তিনি সংযোজন করেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের অন্তর্গত ১১ লাখ ৩৩ হাজার বাড়ির প্রথম দফার টাকাও এখনও পায়নি রাজ্য। এবারের বাজেটে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে মনরেগা প্রকল্পে ৩৩ শতাংশ। ভাল কাজ করা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বারবার বাংলাকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।