‘আদালতের কারণেই শাহজাহানকে ধরা যাচ্ছে না’ সাফ কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালিতে তার বাড়িতে যায় ED।

Must read

রবিবার, মহেশতলায় প্রকল্পের উদ্বোধনের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর কথায়, “শাহজাহানকে কেউ যদি গার্ড করে থাকে তাহলে তা আদালত। হাই কোর্ট হাত-পা বেঁধে দিলে পুলিশ কী করবে?”

আরও পড়ুন-ই-বাইকের ব্যাটারি ফেটে নিউ ইয়র্কে মৃ.ত্যু এক ভারতীয় সাংবাদিকের

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ পাওয়ার পরেই উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। শিবু হাজারও ধৃত। তাঁকেও পদ থেকে সরানো হয়েছে। এমনকী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগে ব্যবস্থা নিয়েছে দল। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়েছে। কিন্তু সন্দেশখালির শেখ শাজাহানকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের সীমা আদালতই বেঁধে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, মানুষের সঙ্গে অন্যায় করলে তৃণমূল ও রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা করবে। তাঁর কথায়, “সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে এনেছিল এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধেও দল ব্যবস্থা নিয়েছে। তা হলে শাহজাহানকে গ্রেফতার না করার কী আছে?” কিন্তু শাহজাহানের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আদালতের নির্দেশ।

আরও পড়ুন-প্রয়াত পরিচালক কুমার সাহানি, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালিতে তার বাড়িতে যায় ED। স্থানীয় মানুষের রোষের শিকার হন তাঁরা। তার পর থেকেই নিখোঁজ শাজাহান বারবার আড়ালে থেকে আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানালেও সামনে আসেননি তিনি। যদিও রাজ্য পুলিশের ডিজি প্রশ্ন তোলেন, ইডি কেন গ্রেফতার করছে না শাহজাহানকে? ইডির সওয়ালেই আদালত রাজ্য পুলিশের এফআইআরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। ফলে শাহজাহানকে ধরতে পারছে না রাজ্য পুলিশ। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, আদালতের কারণেই শাহজাহানকে ধরা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন-ফের বড় মার্জিনে জয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের

একই সঙ্গে অভিষেকের অভিযোগ, বিরোধীরা সন্দেশখালি গিয়ে উস্কানি দিচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে, তবেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সেখানে যাবেন। অযথা রাজনীতি করতে যাওয়া প্রয়োজন নেই শাসকদলের। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তোলেন, মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা কেন আগে চিঠি লিখে পুলিশ-প্রশাসনকে জানাননি প্রাক্তন বাম বিধায়ক বা বিজেপি নেতা! তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ৮ তারিক নরেন্দ্র মোদি আসছেন। তার আগে সন্দেশখালি ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে দফায় দফায় সেখানে যাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যাওয়ার হলে একসঙ্গে যেতে পারতেন। কিন্তু দিল্লির নির্দেশে সন্দেশখালিকে শান্ত হতে দিচ্ছে না বিজেপি- বিস্ফোরক অভিযোগ অভিষেকের।

Latest article