প্রতিবেদন : এনআইএ-র এসপি ধনরাম সিংকে লোক দেখানো শোকজ বা অন্য কোনও ব্যবস্থা নিলে খালি চলবে না, এখান থেকে এনআইএ-র ডিজিকেও সরাতে হবে। যদি ২৪ ঘণ্টার নোটিশে নির্বাচন কমিশন বাংলায় দু’বার ডিজি বদলি করতে পারে তবে আমরা সবরকম তথ্যপ্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও কেন এনআইএ-র এসপিকে এখান থেকে বদলি করা হবে না। কারণ এসপির সঙ্গে ডিজির যোগসাজশ না থাকলে কোনও এসপির পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। সাফ কথা অভিষেকের। তাঁর সংযোজন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে এসে বলছেন আমরা কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আপস করব না। আমি প্রথমেই বলি তিনজনের কথা। শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং অজিত পাওয়ার। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুন, যদি তদন্ত হয় অন্তত দেড় লক্ষ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাবে। এরা বিজেপিতে গিয়ে ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে গিয়েছে। এরপরই বিজেপির আরও উদাহরণ টেনে বলেন, আমি দু’জন হেমন্তর কথা বলব। একজন হচ্ছে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, অন্যজন হেমন্ত সরেন। হিমন্ত বিশ্বশর্মা, যার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। কিন্তু কোনওরকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় সে বিজেপিতে গিয়ে ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে সাধু হয়ে গিয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছে। আর বিজেপির সঙ্গে আপস না করে জেলে গিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন, কারণ তিনি শিরদাঁড়া বিক্রি করেননি। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, এবার বিজেপি ২০০ পার করতে পারবে?
আরও পড়ুন-চার এজেন্সি কর্তাকে এখনই সরাতে হবে, পাশে অন্যরাও
উত্তরে অভিষেক বলেন, বিজেপি বলছে ৪০০ পার করবে, তার মানে আপনাদের মনেও সংশয় আছে তারা ২০০ পার করতে পারবে কি না! অভিষেকের সংযোজন, এখনও এদেশের গণতন্ত্র যে বেঁচে আছে তা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির সততা ও নিরলস প্রচেষ্টায়। মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুকেও লিখেছেন, কেন গণতন্ত্র আমার মাতৃভূমিতে লুণ্ঠিত হচ্ছে প্রতি পদে? রাজধানীর বুকে আমাদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে যা ঘটল, তা গণতন্ত্রের মৃত্যু ছাড়া আর কী? দিল্লির পুলিশ কি আদৌ মানুষের সেবা করছে, নাকি তারা দিল্লির স্বৈরতন্ত্রের দলদাস হয়ে গিয়েছে? ৩ অক্টোবর ২০২৩-এর পর, আজ গোটা দেশ যে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল, তা দেশের জন্য লজ্জার, দেশবাসীর জন্য লজ্জার। আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে এবং ইডি, এনআইএ-র পক্ষপাতদুষ্ট পদক্ষেপের কথা বলতে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাকা স্থায়ী বাড়ি তৈরি করার অনুমতি চাইতে! ধিক্কার নির্বাচন কমিশন! কিন্তু মনে রাখবেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকদের কোনও জমিদারদের লেঠেলবাহিনী দিয়ে আটকানো যাবে না। কাল রাজভবনে আমরা মাননীয় রাজ্যপালকে সবিস্তারে বলেছি এবং অনুরোধ করেছি যে এই সকল বিষয়ে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
স্বৈরাচারী বিজেপি সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন-গরমে শিশুর যত্ন
নির্বাচন কমিশন যতদিন পর্যন্ত না তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করছে, প্রতিবাদ চলবে। এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দিল্লিতে আমাদের প্রতিনিধিরা ২৪ ঘণ্টা টানা ধরনা করেছে। পুলিশের হামলা সকলে দেখেছেন। রাজ্যপালকেও আমরা সবটা জানিয়েছি। তিনি আমাদের পরবর্তী উত্তর জানালে, তাঁর সঙ্গে দেখা করে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেব। এদিন আদালতের মামলা প্রসঙ্গ উঠলে, অভিষেকের স্পষ্ট জবাব, যা প্রমাণ আছে যা ফুটেজ আছে তা আদালতে জমা দেব। ভূপতিনগর নিয়েও আদালতে গিয়েছে এনআইএ। এই বিষয়ে তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য, এনআইএ-র এসপি ও বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির ষড়যন্ত্রের বৈঠক যাতে তদন্তের আওতায় না আসে, এড়িয়ে যেতেই আদালতে গিয়েছে এনআইএ। তবে এসব করে পার পাওয়া যাবে না বলেই সাফ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।