চার এজেন্সি কর্তাকে এখনই সরাতে হবে, পাশে অন্যরাও

তৃণমূল জানিয়েছিল ২৪ ঘণ্টা ধরনা চলবে। তাই হল। দিল্লি পুলিশের প্রবল চাপের মুখেও অনড় রইল তৃণমূল কংগ্রেস।

Must read

প্রতিবেদন : তৃণমূল জানিয়েছিল ২৪ ঘণ্টা ধরনা চলবে। তাই হল। দিল্লি পুলিশের প্রবল চাপের মুখেও অনড় রইল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার বিকেল ৫টা থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধরনা চালিয়ে গেল ১০ সদস্যের তৃণমূল প্রতিনিধি দল। শুরুটা নির্বাচন কমিশনের বাইরে হলেও শেষটা হল মন্দিরমার্গ থানায়।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

ইডি, এনআইএ-সহ ৪ কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রধানদের সরানো ও উত্তরবঙ্গের দুই জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির অনুমতি দিতে হবে— এই দাবিতে ২৪ ঘণ্টার ধরনা আন্দোলন ভাঙতে পারল না শাহর পুলিশ। সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে স্মারকলিপি দিয়ে দলের দাবি তুলে ধরে বেরিয়ে এসেই নির্বাচন সদনের সামনে ২৪ ঘণ্টার ধরনায় বসে যান তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের ১০ সদস্য। কিছুক্ষণের মধ্যেই টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, দোলা সেন— কেউই রেহাই পাননি পুলিশের অত্যাচারের হাত থেকে। সেখান থেকে মন্দিরমার্গ থানায় নিয়ে গিয়ে শুরু হয় পুলিশের এক আজব নাটক।

আরও পড়ুন-গরমে শিশুর যত্ন

তৃণমূলের ১০ প্রতিনিধি আটক না গ্রেফতার, কিছুই জানানো হয়নি তাঁদের। সন্ধ্যা ৭টায় থানায় নিয়ে আসার পরে রাত ১২টার পরে পুলিশ জানাল, তৃণমূলের প্রতিনিধিরা মুক্ত। দোলা সেনের প্রশ্ন, দলে ৩ জন মহিলা সদস্য থাকা সত্ত্বেও ফৌজদারি দণ্ডবিধির কোন ধারায় তাঁদের রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আটকে রাখা হল? কেন কোনও কাগজপত্রও দেওয়া হল না? মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় পুলিশের দ্বিতীয় দফার নাটক। তারা মাইকে ঘোষণা করে, মুক্তি দেওয়া হলেও তৃণমূলের প্রতিনিধিরা নাকি বিনা কারণে থানায় বসে রয়েছেন। অথচ থানার গেট বন্ধ। ২ সাংসদ নাদিমুল হক এবং সাগরিকা ঘোষ বিশেষ প্রয়োজনে একবার বাইরে যাওয়ায় তাঁদের আর ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে থানায় গিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন আপ মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ। সংহতি জানান আন্দোলনকারী তৃণমূল প্রতিনিধিদের প্রতি। বিকেলে ধরনার ইতি ঘোষণা করে দোলা সেন বলেন, ইডি-এনআইএ-সিবিআই- ইনকাম ট্যাক্সকে মোদি সরকার অপব্যবহার করছে। তাই এদের মাথাদের সরাতেই হবে। জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে টর্নেডো দুর্গতদের ক্ষেত্রেও সমানুভূতি দেখাতে হবে।

Latest article