নির্জন সমুদ্রতট বগুরান জলপাই

পুজো শেষ। মনের ডানা উড়ান চাইছে? ঘুরে আসতে পারেন বাগুরান জলপাই। আছে সমুদ্র। উত্তাল নয়। তবে অবিরাম নোনা হওয়া, সাদা ঢেউ আর ঝাউবন মিলিয়ে এই পর্যটনকেন্দ্র এককথায় অপূর্ব। লিখলেন জয়িতা মৌলিক

Must read

সমুদ্র অনেকেরই প্রিয়। প্রতিদিনের ব্যস্ততা, এক ঘেয়েমি কাটাতে কোলাহল থেকে দূরে ছুটে যেতে চায় মন। কিন্তু সব সময় রেস্তোয় কুলোয় না। কিন্তু এই বাংলার সমুদ্র সৈকতেই রয়েছে এরকম জায়গার সন্ধান। যেখানে একেবারে নির্জন সমুদ্র সৈকত হাতছানি নিয়ে ডাকে। আবার খরচও আয়ত্তের মধ্যে। পূর্ব মেদিনীপুরের বগুরান জলপাই (Baguran Jalpai)। দিঘা, তাজপুর. মন্দারমণি তো অনেক হল। ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন বগুরান জলপাই।

কাঁথি থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের গা ঘেঁষে ছোট্ট গ্রাম। ৩ দিন ২ রাতের ট্যুরেই বেশ ঘুরে আসা যাবে বগুরান জলপাই। উইক-এন্ড ট্যুরের আদর্শ গন্তব্য এই নির্জন শান্ত সমুদ্রতট। কলকাতা থেকে বগুরান জলপাইয়ের দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার। গাড়িতে লাগে চার-সাড়ে চার ঘণ্টা।

শুধু নির্জনতাই নয়, বগুরান জলপাই সমুদ্রতটের বিশেষত্ব লাল কাঁকড়ায়। অজস্র লাল কাঁকড়ায় ভরা থাকে সি-বিচ। চওড়া বিচে খেলা করে বেড়ায় তারা। মনে হয় যেন বসন্তকালের পলাশ ফুল ঝরে পড়েছে বালিতে।
বাগুরান জলপাইয়ে সমুদ্র দিঘার মতো তত উত্তাল নয়। অবিরাম নোনা হওয়া, সাদা ঢেউ আর ঝাউবন মিলিয়ে এই সৌন্দর্য সত্যিই অপূর্ব। এই সমুদ্রতটে প্রচুর মৎস্যজীবীকে মাছ ধরতে দেখা যায়। শান্ত সমুদ্রতটে বসে সেই দৃশ্য মনকে শান্তি দেয়। বিচ ট্রেকিং পছন্দ করলে বাগুরান জলপাই থেকে সমুদ্রের ধার বরাবর হেঁটেই পৌঁছে যেতে পারেন মন্দারমণি বা হরিপুর।

আরও পড়ুন-জম্মুতে অন্তত ১ বছর থাকলেই ভোটাধিকার, নির্দেশিকা জারি

দিঘায় ভিড় বেশ বেশি। কারণ, দি-পু-দা বাঙালির পছন্দের বেড়ানোর ডেস্টিনেশন। কিন্তু শহরের কোলাহল ছেড়ে অনেকেই নির্জনতা খোঁজেন। বেশ কিছু বছর হল, দিঘার পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়েছে মন্দারমণি ও তাজপুর। পূর্ব মেদিনীপুরের এই দুটি সুমদ্রতটও ইদানীং বেশ পর্যটক টানছে। দিঘার মতো পর্যটকেদের ভিড়ে ঠাসা না হলেও মন্দারমণি-তাজপুরেও জনসমাগম যথেষ্ট হচ্ছে। আর এই জায়গাগুলি বেশ খরচসাপেক্ষ। সবসময় সবার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয় না। তুলনায় বগুরান জলপাই যথেষ্ট পকেট ফ্রেন্ডলি। সঙ্গে রয়েছে প্রায় ভর্জিন বিচের অনুভূতি। শুধুই পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে যাঁরা ছুটির দিনগুলি উপভোগ করতে চান তাঁদের জন্য এই জায়গা আদর্শ।

বগুরান জলপাই (Baguran Jalpai) থেকে সাইড সিনের জন্য যেতে পারেন জুনপুট আর বাঁকিপুট। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দিরও পরিচিত পর্যটনস্থল। রয়েছে দরিয়াপুর লাইট হাউস। টোটো বা গাড়ি নিয়ে এই জায়গাগুলি ঘুরে আসা যায়।

Latest article