প্রতিবেদন : শেয়ার জালিয়াতি নিয়ে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে আদানি শিল্পগোষ্ঠী। মোদি-ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির একাধিক সংস্থার শেয়ার দরে বড় মাপের পতন ঘটেছে। শেয়ার কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর ঘরে-বাইরে ব্যাপক চাপে আদানি গোষ্ঠী। শেয়ার দরে লাগাতার পতনের জেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা।
আরও পড়ুন-আদানির স্পনসরশিপ প্রতিবাদে পুরস্কারই ফিরিয়ে দিলেন কবি
ঘটনার জেরে এবার হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে পাল্টা আইনি লড়াইয়ে নামতে চলেছে আদানিরা। সেই আইনি লড়াইয়ে আদানি গোষ্ঠী বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা নিউইয়র্কের ওয়াচটেল-লিপ্টন-রোজেন অ্যান্ড কাটজকে নিয়োগ করেছে। মার্কিন মুলুকের নামজাদা আইনি পরামর্শদাতা সংস্থার প্রথম সারির আইনজীবীরা একসঙ্গে মার্কিন আদালতে আদানি গোষ্ঠীর হয়ে হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে সওয়াল করবেন। এজন্য বিপুল টাকা খরচ করতে হচ্ছে আদানি গোষ্ঠীকে। নিউইয়র্কের ওয়াচটেল এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে মহার্ঘ আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা। কিছুদিন আগেই ট্যুইটার কিনেছিলেন এলন মাস্ক। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়েও নানা কারণে চুক্তি পিছিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। সে কারণে মাস্কের উপর চাপ তৈরি করতে এই আইনি পরামর্শদাতা সংস্থাকেই তখন নিয়োগ করেছিল ট্যুইটার।
আরও পড়ুন-চাপে পড়ে দূরত্ব? লখনউয়ে শিল্প সম্মেলন, মোদির পাশে নেই আদানি
গত ২৫ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, আদানি গোষ্ঠী কারচুপি করে সংস্থার শেয়ারের দাম ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বাড়িয়েছে। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই আদানি গোষ্ঠীর প্রায় প্রতিটি সংস্থার শেয়ারের দরে বড় মাপের ধস নামে। আদানিরা ওই রিপোর্টকে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করে। পাল্টা হিন্ডেনবার্গ জানায়, তাদের রিপোর্টকে আদানিরা মিথ্যা বা ভিত্তিহীন বলে মনে করলে তারা আমেরিকার আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আদানিরা হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আদালতেই গেল।