সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত এমএএমসি কারখানার কোয়ার্টারগুলি ওই সংস্থারই প্রাক্তন কর্মীদের দীর্ঘমেয়াদে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল এডিডিএ। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার এমএএমসি টাউনশিপ তৈরি করার জন্য ৪৭৪ একর জমি এবং কারখানার জন্য ১৯৩ একর জমি দেয়। কারখানাটি রুগ্ণ হয়ে পড়ায় ১৯৯২ সালে সেটি বিআইএফআর-এ পাঠানো হয়। এর দশ বছর পর ২০০২ সালে কারখানাটিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-২১৫০ রাস্তা নির্মাণ, সংস্কারে ৫৯৭ কোটি
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এমএএমসি উপনগরীর দায়িত্ব বর্তায় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) উপর। এরপর সিদ্ধান্ত হয় এমএএমসি-র আবাসন লিজের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট ২০০৭ সালে ডিপিএলকে আবাসনগুলিতে বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে এডিডিএ-কে দেওয়া হয় আবাসনগুলি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব। ২০১০ সালে এডিডিএ এবং এমএএমসি-র শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আবাসন লিজ দেওয়ার রূপরেখা তৈরি হয়। কলকাতা হাইকোর্ট লিজ দেওয়ার অনুমোদন দেয় ২০১১ সালে।
আরও পড়ুন-৪৮০ রাস্তায় বরাদ্দ ১৬১ কোটি
২০১৫ সাল থেকেই আবাসন লিজ দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু মাঝপথে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে আইনি জটিলতা বাধে। সেই জটিলতা কাটিয়ে চলতি বছরের ২৩ মার্চ এডিডিএ-র বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়, এমএএমসির যেসব আবাসন লিজ চুক্তির আওতায় আসবে, সেগুলি এডিডিএ-র লিজ চুক্তি অনুযায়ী হস্তান্তর, বন্ধক ইত্যাদি করা হবে। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এতে দখলদারদের হাত থেকে আবাসনগুলি রক্ষা পাবে এবং একটি নিয়মের মধ্যে আসবেন আবাসিকেরা। যাঁরা বর্তমানে এই আবাসনে রয়েছেন তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন লিজের জন্য। তবে দখলদারেরা পারবেন না। এছাড়াও যাঁদের টাকা জমা নেই সেই শ্রমিকেরাও আবেদন করতে পারবেন। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান বলেন, এতে সরকারের কোষাগারে অর্থ আসবে এবং এমএএমসি-র আবাসন নিয়ে দালালদের দুর্নীতি ও লোক ঠকানো বন্ধ হবে।