দেবর্ষি মজুমদার, বীরভূম : জনভিত্তি হারিয়ে বামেরা এবার ঘোলাজলে মাছ ধরতে নামল। পাঁচামিতে রাজ্য সরকার যখন আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সন্তোষজনক পুনর্বাসন প্রস্তাব দিয়ে কোল ব্লকের কাজ শুরু করতে চলেছে, সেই সময় বামেরা গিয়ে ঘোঁট পাকাতে চেষ্টা করল। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপারটাকে আদিবাসী সম্প্রদায় ভাল চোখে দেখেননি। ফলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জনরোষের সম্মুখীন হলেন বাম প্রতিনিধিরা। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, রামচন্দ্র ডোম, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরি ও পশ্চিম বর্ধমানের সেক্রেটারি গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়।
একদম ঢোকার মুখেই পাঁচামিতে ‘গো ব্যাক’ ধ্বনির সঙ্গে কালো পতাকা দেখাল এলাকার মানুষজন। বাবুলাল টুডু ও রাম মারাণ্ডিরা বাম প্রতিনিধি দলের মুখের সামনেই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে আমাদের দাবিদাওয়া বুঝে নেব। আপনারা এখানে হাওয়া গরম করতে আসবেন না।’ বিক্ষুব্ধদের একজনের পাল্টা প্রশ্ন ছিল, ‘সিঙ্গুরে আপনারা কী করেছিলেন, আমরা জানি। আপনাদের বিশ্বাস করি না। আপনারা আজ কথা বলতে আসছেন, সিঙ্গুরে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুলের মুঠি ধরে মেরেছিলেন! আজ এখানে কেন?’ প্রতিবাদ সত্ত্বেও পরে এই প্রতিনিধিদল হরিণশিঙায় আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন : বাবুল-মনোজ দ্বৈরথ দিয়ে আজ শুরু এমপি কাপ সৌজন্যে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
জানা গিয়েছে, আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলার সময়, সুজন চক্রবর্তী বলেন, যদি আপনারা সরকারের সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট থাকেন, তাহলে কিছু বলার নেই। তার পরেও সুজন, রামরা নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন, তবে তাঁদের প্ররোচনায় সাড়া দেননি আদিবাসীরা।
সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি বলেন, ‘পাঁচামিতে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্যাকেজ দিয়েছেন, তাতে তাঁরা খুশি। তাঁরা চান না, কেউ তাঁদের ডিস্টার্ব করুক। এই বিক্ষোভের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই।’