অভিষেক ও শীর্ষ নেতৃত্ব আটক হতেই নিন্দায় সরব রাজনৈতিক নেতৃত্ব

পুলিশ লাইনের ভিতরে স্লোগান ওঠে, 'গা জোয়ারি চলবে না।' সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'লড়াই লড়াই লড়াই চাই। লড়াই করেই বাঁচতে চাই।'

Must read

কৃষিভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থানে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), শান্তনু সেন, বিরবাহা হাঁসদা, মহুয়া মৈত্রদের। একাধিক বাসে পুলিশ তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ লাইনের ভিতরে স্লোগান ওঠে, ‘গা জোয়ারি চলবে না।’ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই। লড়াই করেই বাঁচতে চাই।’

আরও পড়ুন-দুর্গার সঙ্গে পুজো পান বংশের কুলদেবী, রাজরাজেশ্বরী, দুই সখী জয়া-বিজয়া

পুলিশ লাইনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের একটা কনফারেন্স হলে বসতে দেওয়া হয়। আমরা বসেছিলাম। কথা ছিল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। তাই কৃষি ভবনে যাই। প্রতিনিধি দলের তালিকা দেখেই আমাদের ঢোকানো হয়। বাড়তি কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের অপেক্ষা করিয়ে মন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। আমরা গিরিরাজ সিংয়ের সময় চেয়েছিলাম, দেয়নি। প্রতিমন্ত্রীর সময় চাইলাম। দু’বার সময় পরিবর্তন করে আমাদের ওখানে বসিয়ে রেখে পালিয়ে গেল। মন্ত্রী পালিয়েছে জেনে মন্ত্রীর চেম্বারের দিকে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করি। দিল্লি পুলিশের অফিসার, আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান, সিআইএসএফ দিয়ে আমাদের আটকায়। সেখানেই বসে পড়ি। ধরনায় বসেছিলাম শান্তিপূর্ণভাবে। হঠাৎ বল প্রয়োগ করে, মহিলাদের পর্যন্ত ছাড়েনি।”

আরও পড়ুন-বেনারসি পরিয়ে দেবীকে বসানো হয় পঞ্চমুন্ডির আসনে

অভিষেক বলেন, ‘৫ অক্টোবর রাজভবন চলো ডাক দিলাম। রাজ্যপালকে এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি দিতে। চিঠির জবাব চাই। ৩টের সময় এক লক্ষ লোক নিয়ে রাজভবন যাবে। যেভাবে রাজ্যে বদল এনেছিলাম, এবার কেন্দ্রে বদল আনব’।

এরপরের নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া মৈত্র লেখেন, ‘সূর্যাস্তের পর মহিলা সাংসদদের থানায় আটক রাখা হল কী করে?’ তিনি আরও বলেন, ‘কোন কাগজ ছাড়াই মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন-বাম-কং আমলের দাবি পূরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিগগিরই চালু হচ্ছে নেতাজি সুভাষ সেতু

শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন ‘এদিন যা ঘটল তা প্রতিহিংসাপরায়ণ । পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্যদের কৃষি ভবন থেকে জোর করে বের করে দিল্লি পুলিশ আটক করেছে! এটা স্পষ্ট যে দিল্লির কিছু অদৃশ্য হাত এর পিছনে রয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক কাজ যা আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করে।’

Latest article