প্রতিবেদন, ১৫ মে : স্লো ওভার রেটের জন্য ২৪ লাখ টাকা জরিমানা হল নীতীশ রানার। বলা হয়েছে দ্বিতীয়বার এমন হল নীতীশের ক্ষেত্রে। প্রসঙ্গত, এর আগেও জরিমানা হয়েছিল কেকেআর অধিনায়কের। এ-ছাড়া, প্রথম এগারোয় থাকা প্রত্যেক সদস্য ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের ৬ লাখ করে জরিমানা হয়েছে।
আরও পড়ুন-সোমবার বিকেল থেকে তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড কলকাতা শহর
চিপকে চেন্নাইকে হারিয়ে প্লে অফের দৌড়ে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে ২০ মে ইডেনে শেষ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারালেও যে শেষ চারের রাস্তা খুলে যাবে, এমন নয়। লখনউকে হারালে কেকেআর বড়জোর ১৪ পয়েন্টে যেতে পারবে। কিন্তু তাদের তখন তাকিয়ে থাকতে অন্য দলের দিকে।
শুধু ২৪ লাখের জরিমানাতেই নীতীশের মাথার উপর থেকে শাস্তির খাঁড়া সরে যাচ্ছে না। তাঁর জন্য চাপ থাকছে এরপরেও। কারণ, স্লো ওভার রেটের জন্য দ্বিতীয়বার শাস্তি পেয়েছেন কেকেআর অধিনায়ক। একই অপরাধে আর একবার শাস্তির সামনে দাঁড়ালে এক ম্যাচ নির্বাসন পর্যন্ত হতে পারে তাঁর।
আরও পড়ুন-ঝড়ের তাণ্ডবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় আটকে যায় রাস্তায়, অল্পের জন্য এড়ানো গেল দুর্ঘটনা
প্লে অফের আগে আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি আছে কেকেআরের। ইডেনে তারা খেলবে লখনউয়ের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে লখনউ খেলবে সবুজ-মেরুন জার্সিতে। ফলে কেকেআর শেষপর্যন্ত শেষ চারে যাক বা না যাক, সবুজ-মেরুনের লখনউকে ঘিরে বেশ উৎসাহের সঞ্চার হয়েছে স্থানীয় ক্রিকেটমহলে।
তবে রবিবার মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে সহজেই হারাল কেকেআর। ম্যাচের পর নীতীশ ইডেনের উইকেট নিয়ে রীতিমতো চোপ দেগেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইডেনে তাঁরা হোম অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছেন না! ইডেনে এবার এখনও পর্যন্ত ছ’টি ম্যাচ খেলে কেকেআর জিতেছে দুটি ম্যাচে।
নীতীশ সেই কথা টেনে বলেন, “আমার মনে হয় কেকেআর ছাড়া বাকি সব দল নিজেদের মাঠে সুবিধা পায়। ইডেনে আমরা ব্যাটিং উইকেটে দু’শোর উপর রান করি। আবার মন্থর উইকেট হলে রান কম ওঠে। এতে ব্যাটারদের বারবার উইকেটের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হয়। অন্যদের এটা করতে হয় না।”
আরও পড়ুন-‘সুর্যাস্তের আগে আমায় বলতে দেয় না’, নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর
ধোনিদের ১৪৪ রানে আটকে রাখার কৃতিত্ব নীতীশ স্পিনারদের দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘স্পিনাররা খুব ভাল বল করেছে। ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। আর আমি জানতাম যে আমি বা রিঙ্কু একটু দাঁড়িয়ে গেলেই আমরা জিতব। তাই বেশি ঝুঁকি নিতে যাইনি আমরা।”
একইসঙ্গে কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন নীতীশ। তিনি বলেন, কোচ তাঁদের ভারী রোলার ব্যাবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। খুব ইচ্ছে না থাকলেও নীতীশ সেটা মেনে নিয়েছিলেন। পরে দেখা গেল উইকেট এতে না ভেঙে গিয়ে বসে গিয়েছিল। ফলে বেশি ঘোরেনি বল। নীতীশ বলেন এতে ভালই হয়েছে।